বরিশালে কিশোরীকে ধর্ষণ, প্রতিবাদ করায় প্রকাশ্যে পেটালেন নানাকে

কামরুন নাহার | ২৩:১১, জানুয়ারি ১৫ ২০২০ মিনিট

উজিরপুর প্রতিনিধি ॥ বরিশালের উজিরপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবাদ করায় কিশোরীর নানাকে পিটিয়ে আহত করেছে। কিশোরী ও পরিবার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের হস্তিশুন্ড গ্রামের মামুন হাওলাদারের ছেলে লম্পট হৃদয় (২১) একই গ্রামের কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ১৪ জানুয়ারী রাত ১০ টায় ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। বাড়ীর লোকজন দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে ধর্ষককে হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং ঘরের মধ্যে আটক করে মারধর করে তাকে ছেড়ে দেয়। পরের দিন গতকাল ১৫ জানুয়ারী সকাল ১০ টায় কিশোরীর চাঁচাত নানা শাহালম মোল্লা হস্তিশুন্ড পুরাতন বাজারে গেলে ধর্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। তার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে পরবর্তীতিতে দেখে নেয়ার হুমকী দিয়ে চলে যায়। কিশোরীর পরিবার গরীব অসহায় হওয়ায় ঐ প্রভাবশালী লম্পটের বিরুদ্ধে মামলা করতে সাহস পাচ্ছেনা। জানা যায়, কিশোরী বাবুগঞ্জ উপজেলার রাকুদিয়া গ্রামের কুদ্দুস হাওলাদারের মেয়ে। বাবা-মায়ের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ায় হত দরিদ্র কিশোরী জীবিকা নির্বাহের জন্য উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের নানা মোশারফ মোল্লার বাড়ীতে থাকে। তার মা ঢাকায় ঝিয়ের কাজ করে। ঘটনার দিন বসত ঘরে একা ছিল কিশোরী। আহত কিশোরীর চাচাত নানা শাহালম মোল্লা জানান, আমার নাতনীকে ঘরে একা পেয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে ওই লম্পট জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে। এই ঘটনা আমরা জানতে পেরে বাড়ির সকলে মিলে ঘরের মধ্যে ধর্ষককে আটক করি। পরে কতিপয় ব্যক্তি ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তাতে মারধোর করে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরের দিন সকালে আমাকে পিটিয়ে আহত করে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি ও এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়। তাদের ভয়ে আমরা থানায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছি না। এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল আহসান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।