বরিশালে ধারালো অস্ত্র নিয়ে শ্রেনিকক্ষে ঢুকে আজীবনের জন্য বহিঃস্কার ৫ শিক্ষার্থী

কামরুন নাহার | ১৮:৩৬, জানুয়ারি ১৫ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সিনিয়র-জুনিয়র বিরোধের জের বুধবার বিদ্যালয়ে ঢুকে হামলা ও পাল্টা মামলা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিদ্যালয়ে শ্রেনি কক্ষে প্রবেশের অভিযোগে দশম ও নবম শ্রেনির পাঁচ শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে আজীবনের জন্য বহিঃস্কার করা হয়েছে। বুধবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির জরুরুী সভায় এ সিদ্বান্ত নেওয়া হয়। বিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিঃস্কৃত শিক্ষার্থীরা হল, এসএসসি পরীক্ষার্থী মেহেদী হাসান, শাহাদাত হোসেন, দশম শ্রেনীর ছাত্র (নিউ) শামিম মৃধা, নাঈম সিপাহী ও নবম শ্রেনীর ছাত্র রাসেল হাওলাদার। প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় লোকজন, শিক্ষক শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা জানান, সিনিয়র ও জুনিয়রদের বিরোধের জের ধরে এস.এস.সি পরীক্ষার্থী শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনির ছাত্র রাসেল হাওলাদারের চরম বিরোধ তৈরী হয়। তারা উভয়ে বিদ্যালয়ের মধ্যে দুটি ধারা তৈরী করে দলাদলি ও বিশৃংখলা তৈরী করে আসছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে বুধবার দুই পক্ষ লাঠিসোটা ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে বিদ্যালয়ে ঢুকে সহিংসতা সৃষ্টি করে। পরবর্তিতে ওই শিক্ষার্থীরা চাপাতি, ডেগার, রড়, চাকুসহ ধারাল অস্ত্র নিয়ে শ্রেনি কক্ষে অবস্থান করে। বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষক, অভিভাবক ও কমিটির লোকজন শ্রেনি কক্ষে গিয়ে ৫ ছাত্রকে আটক করে তাদের কাছ থেকে ধারাল অস্ত্র উদ্ধার করে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটকে রাখে। নলচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল আলম জানান, ধারাল অস্ত্রসহ ৫ ছাত্রকে আটকের পরে তাদের অভিভাবকদের খবর দেয়া হয়। পরবর্তিতে দুপুর সাড়ে ১১টায় এ নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির জরুরী সভা কমিটির সভাপতি ও নলচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হাফিজ মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠি হয়। সভায় উপস্থিত শিক্ষক, অভিভাবক ও কমিটির সর্বসম্মতি সিদ্বান্তক্রমে ৫ শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির জরুরী সভা কমিটির সভাপতি ও নলচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হাফিজ মৃধা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের সাধারন ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করন এবং লেখাপড়ার সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখতেই এই কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।