সকলের দুঃখ দুর্দশায় পাশে থাকেন জাকারিয়া সোয়েব মিরাজ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২২:৪৮, সেপ্টেম্বর ২৬ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দেশের চার হাজারেরও বেশি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর ও আগামী বছরের মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে ইউপি নির্বাচন হতে পারে। ইসির একাধিক সূত্র জানায়, সারা দেশে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি ইউপি আছে। এর মধ্যে ৫০০-এর মতো মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার কারণে আসন্ন ডিসেম্বরের মধ্যে সেগুলোতে ভোট হবে। বাকি ৪ হাজারের মতো নির্বাচন আগামী বছরের মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। আগত নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের মধ্যে বিভিন্ন রকমের উৎসাহ-উদ্দীপনা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতির জানান দিচ্ছেন। ইতিমধ্য দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা মধ্যে পিছিয়ে নেই বরিশালেও। সম্প্রতিক বরিশালের মিডিয়াঙ্গনে চোখ বুলালেই খবরের কাগজে ভেসে উঠে একটি নাম বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাকারিয়া সোয়েব মিরাজ। জানা গেছে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৩ নম্বর পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের নুরুল হক (রত্তন মাস্টার) এর ছোট ছেলে জাকারিয়া সোয়েব মিরাজ। ১৯৯০ সালে পড়াশুনার তাগিদে বাকেরগঞ্জ থেকে বরিশাল নগরীতে আসেন। ১৯৯১ সালে বরিশালে উদয়ন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। ওই স্কুল থেকে ২০০২ সালে বিজ্ঞান বিষয়ে সুনামের সাথে এসএসসি পাশ করেন তিনি। ২০০২ সালে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে মানবিক শাখায় ভর্তি হয়ে ২০০৬ সালে সুনামের সাথে এইচএসসি পাশ করেন। তারপর ২০০৬ সালে ওই কলেজেই ডিগ্রীতে ভর্তি হয়ে ২০১১ সালে পাশ করেন। বর্তমানে জাকারিয়া সোয়েব মিরাজ সরকারি বরিশাল ‘ল’ কলেজে অধ্যায়ন আছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি মিশে আছে তার হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গভীর দেশাত্মবোধের টানে ২০০১ সালে ছাত্রজীবন থেকেই নিজেকে জড়িয়েছেন ছাত্র রাজনীতিতে। সেখান থেকেই ছাত্রলীগের বিভিন্ন মিছিল, মিটিং ও আন্দলোন সংগ্রামের সাথে নিজেকে রাজনীতির সাথে যুক্ত রাখেন। সাংগঠনিক দক্ষতায় নজর কারেন জেলার নেতাদের ছাত্র রাজনীতিতে ২০০৪ সালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পাশাপাশি ২০০৭ সালে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জরিয়ে পরেন। তারপর ২০০৯ সাল হতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। অপরদিকে, জাকারিয়া সোয়েব মিরাজ ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি বাংলাদেশ মানবধিকার কমিশন বরিশাল জেলা শাখার সদস্য ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার মানবধিকার কমিশনের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে কাজ করে আসছেন। বরিশালের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার উচ্চপদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া বরিশাল ও বাকেরগঞ্জে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সর্বদা নিজেকে নিয়যুক্ত রাখেন মিরাজ। মিরাজ বলেন পাদ্রীশিবপুর বাসী চাইলে এবং দল তথা অভিভাবক নেতাদের সমর্থন থাকলে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। তিনি বলেন, মানুষের পাশে থাকার ইচ্ছা থাকলে এমনিতেই থাকা যায়। তবে সে কাজটা একজন জনপ্রতিনিধির জন্য অনেক সহজতর হয়। কারণ তার জন্য তখন সেটা মৌলিক ও নীতিগত দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়। আমি সে দায়িত্ব নিয়ে পাদ্রীশিবপুরের জনগনের পাশে থাকতে চাই। পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের অসহায় মেহনতী মানুষদের প্রাণের দাবী জাকারিয়া সোয়েব মিরাজ যদি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে তাদের পাশে আসেন তাহলে তাদের দুঃখ-দুর্দশা কোনোভাবেই ছুতে পারবে না। অধিকাংশ ভোটাররা জানান শুধু নির্বাচনী মাঠেই নয় আমাদের সুখ-দুঃখের ভাগীদার হিসেবে জাকারিয়া সোয়েব মিরাজ সবসময় আমাদের পাশে থাকেন। অসহায় দরিদ্র মানুষগুলো যখন হাড়ভাঙ্গা শীতে কাতরাতে থাকেন প্রতি বছর বিপুল পরিমাণে শীতবস্ত্র ও কম্বল নিয়ে মিরাজ নিজ হাতে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়। জাকারিয়া সোয়েব মিরাজ নিজের অর্থায়নে সমার্থক অনুযায়ী পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা করে থাকেন। ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষের যেকোনো সমস্যায় মিরাজ ঝাঁপিয়ে পড়েন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করার পরেও নিজের জীবনের মায়া ভুলে ইউনিয়ন বাসীকে করোনার সংক্রমণ এর হাত থেকে রক্ষা করতে ঘরে ঘরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, গ্লোভস থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের উপকরণ দিয়ে থাকেন এবং বরিশাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এনে বাকেরগঞ্জ সদর সহ পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নের হাট-বাজার ও প্রধান সড়কগুলোতে কয়েকদফা জীবাণুনাশক ¯েপ্র প্রদান করেন যা কিনা সাধারণ জনসাধারণের জন্য অনেক বড় সন্তুষ্টির ব্যাপার ছিল। ইতিমধ্যে পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন জাকারিয়া সোয়েব মিরাজ। তাই ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের একটাই দাবী চেয়ারম্যান হিসেবে তারা জাকারিয়া মিরাজকে দেখতে চান।