বিদেশী কোম্পানি নয়, বাপেক্সকে দিয়ে ভোলার গ্যাস উত্তোলনের দাবীতে মানববন্ধন
দেশ জনপদ ডেস্ক|২২:২৪, সেপ্টেম্বর ২৩ ২০২০ মিনিট
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বিদেশী কোম্পানি গ্যাজপ্রমকে ইজারা না দিয়ে, মালিকানা নিশ্চিত করে ভোলার গ্যাস দেশীয় কোম্পানি দিয়ে উত্তোলন করা এবং বরিশাল বিভাগে গ্যাসভিত্তিক কারখানা নির্মাণ করে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার দাবীতে বরিশালে মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১ টায় নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ বরিশাল জেলা শাখা। বাসদ বরিশাল জেলা শাখার আহবায়ক ইমরান হাবিব রুমনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদের জেলা সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন দিদার, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের শহীদুল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সৈয়দ মাহিন, কৈশিক বেপারী। নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৭ সালে ভোলার এই দ্বিতীয় গ্যাসক্ষেত্রটি আবিস্কার করে বাংলাদেশের বাপক্সে। তারা এই গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে সক্ষম হলেও আমরা অবার বিষ্ময়ে লক্ষ্য করছি যে এই গ্যাস উত্তোলনে বিদেশি কোম্পানি গ্যাজপ্রমের সাথে চুক্তির নীল নকশা করা হচ্ছে। বিদেশী কোম্পানিকে দিয়ে এই গ্যাস উত্তোলনে খরচ হবে প্রায় দ্বিগুণ। বিদেশী কোম্পানীর সাথে চুক্তি স্পষ্টভাবে দেশের সম্পদ লুটপাটের এক ঘৃণ্য পাঁয়তারা এবং জাতীয়ভাবে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পথে বড় বাঁধা। নেতৃবৃন্দ বলেন, গ্যাস উত্তোলনের কাজ গ্যাস আবিস্কারের তুলনায় সহজ এবং বাপেক্স এই কাজটি দীর্ঘদিন থেকে দক্ষতার সাথে করে যাচ্ছে। যেখানে বাপেক্স একটি গ্যাসকূপ খননে সর্বোচ্চ ৮০ কোটি টাকা খরচ করে সেখানে গ্রাজপ্রমের সাথে একই কাজ ১৮০ কোটি টাকায় চুক্তি করা হচ্ছে। যেখানে বাপেক্স প্রতি বছর ৩/৪টি কূপ খনেনর ক্ষমতা রাখে সেখানে কোনভাবেই বিদেশী কোম্পনীর সাথে এই লুটপাট আর দাসত্বে চুক্তি জনগণ মেনে নেবে না। তাই অবিলম্বে বিদেশি কোম্পানী গ্যাজপ্রমের সাথে যে কোন চুক্তি বাতিল করে দেশীয় কোম্পানি বাপেক্স-প্রেট্রো বাংলার সাহায্যে ভোলার গ্যাস অনুসন্ধান-উত্তোলন করতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ভোলার গ্যাস বিদেশী কোম্পানি গ্যাজপ্রমকে ইজারা দেয়া বাতিল, দেশীয় মালিকানা নিশ্চিত করে ভোলার গ্যাস দেশীয় কোম্পানি দিয়ে উত্তোলন এবং বরিশাল বিভাগে গ্যাসভিত্তিক কারখানা নির্মাণের দাবী আদায়ে বরিশালে বিভাগীয় সমাবেশ, লংমার্চ এবং প্রয়োজনে হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচি দিয়ে সরকারকে বাধ্য করা হবে।