বরগুনা
বামনায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ইউপি সদস্য কর্তৃক অর্ধশত গাছ কর্তন
বামনা প্রতিনিধি ॥ বরগুনার বামনায় পারিবারিক ভাগবাটোয়ারার জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সদর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য মোসা. খাদিজা বেগম ও তার ছেলে মো. জাহিদ হাওলাদার (১৮) কর্তৃক অর্ধশত ফলজ ও বনজ গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলা সদরের আমতলী গ্রামের ওই ইউপি সদস্যের শ্বশুর বাড়ীর সামনে একটি বিরোধীয় জমিতে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলে ওই নারী ইউপি সদস্য ও তার ছেলে। এ ঘটনায় বামনা থানায় ওই দুইজনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বিরোধীয় জমির আরেক ওয়ারিশ মো. হারুন হাওলাদারের ছেলে মো. হাসিব হাওলাদার। স্থানীয়রা জানায়, দির্ঘদিন ধরে আমতলী গ্রামের হারুন হাওলাদারের সাথে জমি জমা সংক্রান্ত ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তার মরহুম বড় ভাইয়ের স্ত্রী বর্তমান সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য খাদিজা বেগমের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো। ওই জমির ভাগবাটোয়ারা সংক্রান্ত একটি মামলা বর্তমানে আদালতে চলমান। আদালতের নির্দেশে স্থানীয় শালিস ব্যবস্থার মাধ্যমে জমি ভাগ বাটোয়ারার কথা ছিলো। গত শনিবার এ নিয়ে স্থাণীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা শালিস করবেন বলে তারিখ নির্ধারণ করেন। তবে হারুন হাওলাদার একটি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে বরিশালে চিকিৎসাধিন থাকায় ওই জমির শালিস ব্যবস্থা স্থগিত রাখা হয়। এই সুযোগে বিরোধী পক্ষ গত মঙ্গলবার সকালে ওই জমিতে পূর্বে রোপনকৃত প্রায় অর্ধশতাধিক ফলজ ও বনজগাছ জোড় পূর্ব কেটে ফেলে ওই ইউপি সদস্য ও তার ছেলে। হারুন হাওলাদারের ছেলে হাসিব হাওলাদার জানান, তার বাবা বাড়িতে না থাকার সুযোগে তার চাচি খাদিজা বেগম ও তার ছেলে জাহিদ গাছগুলো কর্তন করে। জমির সালিশ হওয়ার কথা সালিশিতে যদি তারা জমি পায় তাহলে আমরা তাদের জমি বুঝিয়ে দিবো। কিন্তু তার চাচি একজন ইউপি সদস্য হয়েও ফলসমৃদ্ধ এমন তাজা তাজা গাছগুলো কেটে ফেলে দেওয়াটা খুব অন্যায় করেছে। এব্যপারে অভিযুক্ত ওই নারী ইউপি সদস্য খাদিজা বেগম বলেন, আমার জমিতে তারা জোড় করে পুকুর কেটেছে আমি কিছুই বলিনি। এবার আমি আমার জমির গাছ কেটেছি দেখি কে কি করতে পারে। এব্যপারে বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ ইলিয়াস আলী তালুকদার বলেন, একজন ইউপি সদস্য হয়ে গাছগুলো কাটা তার অন্যায় হয়েছে। আমি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে একজন এসআইকে পাঠিয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।