বরিশাল
গত ১ মাসে বরিশালে পানিতে ডুবে ৫ শিশুর মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল বিভাগের তিন জেলায় গত ১ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত খেলাধুলা করার সময় পুকুরে ও ডোবার পানিতে ডুবে পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বরিশালে ২, বরগুনায় ২ ও ঝালকাঠি ১ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সূত্র মতে, বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলায় গত ২২ জুন পানিতে ডুবে মো. আব্দুল্লাহ (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। সে মুলাদী উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের পূর্ব ষোলঘর গ্রামের আনোয়ার হোসেন মৃধার ছেলে। ২২ জুন সকালে বাড়ির উঠানে পাশের পুকুরের পাড়ে আব্দুল্লাহ খেলতে গিয়ে সবার অগোচরে পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে মারা যায়। এর আগে, গত ১৪ জুন উজিরপুর উপজেলায় পানিতে ডুবে বাবুগঞ্জ উপজেলার রমজানকাঠী গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের মৃত্যু হয়। উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের সাকরাল গ্রামে মায়ের সঙ্গে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল সুমাইয়া। সবার অজান্তে ১৪ জুন দুপুরে কোনো এক সময় সুমাইয়া বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে মারা যায়। গত ১৫ জুন সোমবার বিকেলে বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যবহৃত স্যালাইনের পাইপ দিয়ে খেলতে গিয়ে ডোবায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করা ওই দুই শিশু হলো, পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওমান প্রবাসী শাহিন মিয়ার ছেলে ওবায়েদুল্লাহ (৫) ও তার প্রতিবেশি হারুন বাদশাহর ছেলে রিহান (৫)। স্বজনরা জানায়, ওবায়েদুল্লাহ ও রিহানকে বাড়ির সামনে খেলতে দেখে ওবায়েদুল্লাহ মা আছরের নামাজ পড়তে যান। নামাজ পড়ে এসে তাদের খুঁজে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে বাড়ির সামনে বৃষ্টির পানিতে টইটুম্বরু একটি ডোবায় তাদের দুজনকে ডুবে থাকা অবস্থায় দেখে তিনি চিৎকার দেন। এ সময় আশেপাশের লোকজন এসে শিশু দুটিকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন। ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার বাইপাস সংলগ্ন এলাকার খলিফা বাড়ির পুকুরের পানিতে ডুবে ফাহিম খলিফা নামে দেড় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটে। ফাহিম আসলাম খলিফার একমাত্র ছেলে। ফাহিমের দাদা তাজুল ইসলাম খলিফা বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে ফাহিম বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। ফাহিম ঘরের পাশেই পুকুরে পড়ে যায়। পরে ফাহিমকে পুকুরে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। এসব শিশুদের মৃত্যুর কারন হিসেবে উঠে এসেছে- বাড়ির পাশে সন্তানকে খেলতে দিয়ে সংসারের কাজে মায়ের ব্যস্ত হয়ে পড়া এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অসচেতনতা।