বরিশাল
বরিশালে ছাত্রদল নেতা রবিউল হত্যা, ১২ আসামিকে কারাগারে প্রেরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে উল্লসিত হয়ে মিষ্টি বিতরণের সময় বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে রবিউল ইসলাম (২৬) নামের এক ছাত্রদল নেতা নিহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ১২ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক।
বরিশাল সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. ফারুক হোসেন শুনানি শেষে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) শেষ কার্যদিবসে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আসামিরা উচ্চ আদালতের জামিন ছিলেন।
জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তারা সোমবার দুপুরে তারা বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করেন। এসময় বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সকল আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন-বাবুগঞ্জ উপজেলার ঠাকুরমল্লিক এলাকার নাবিদ হাসান শান্ত, মিজানুর রহমান কবিরাজ, মো. বাবুল হাওলাদার, চর হোগলা এলাকার সফিউল আজম শাহিন ফরাজী, এমদাদুল হক মিলন ও তার ভাই জহিরুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, খান মো. সোহাগ, সফিকুল ইসলাম সবুজ হাওলাদার, রফিক মুন্সি, সুমন বেপারী ও আব্দুল্লাহ হাওলাদার।
সূত্রমতে, নিহত রবিউল ইসলাম বাবুগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের আগরপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী মিজানুর রহমান ওরফে দুলাল হাওলাদারের ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলেন।
মামলার এজাহারে জানা গেছে-নিহত রবিউল ইসলাম কিছুদিন আগে গ্রামের বাড়িতে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে ঢাকার অবস্থান ছেড়ে বাবুগঞ্জে আসেন। গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে এলাকায় মিষ্টি বিতরণকে ঘিরে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রবিউল ইসলামকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে (রবিউল) উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। খবর পেয়ে নিহতের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফিরে দাফন সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে সিসিটিভি ফুটেজ ও স্থানীয়দের বক্তব্যের ভিত্তিতে জড়িতদের শনাক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।



