বরিশাল
আধুনিক বরিশালে অগ্নিনির্বাপণের বেহাল দশা, কে বাঁচাবে কাকে?
সরেজমিনে শহরের আদালতপাড়া, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ভেনাস শপিং মল, মোহসীন মার্কেট ও সিটি মার্কেট এলাকাগুলোতে দেখা যা মানুষের ভিড়। তবে এসবের অধিকাংশেই দেখা যায়নি কার্যকর অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা। কোথাও শুধু নামমাত্র যন্ত্র, কোথাও এর ব্যবহার জানে না কেউ। প্রশ্ন উঠেছে দুর্ঘটনা ঘটলে কে বাঁচাবে কাকে?
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন ইকবাল মিয়া বলেন, ‘এত বড় হাসপাতালে প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াত। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে কারো রক্ষা হবে না।’
সায়েম বলেন, ‘তার মায়ের অসুস্থতার কারনে বেশ কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে অবস্থান করছেন তিনি। কোথাও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দেখতে পান নি।
শহরের ভেনাস শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী, ইমতিয়াজ বলেন, ‘মার্কেটের একদম ভেতরে তার দোকান। আগুন নিভানোর কোনো সরঞ্জামও মার্কেটে নেই।’
আরেক ব্যবসায়ী ইসমাইন হোসেন বলেন, ‘মার্কেটের আশ-পাশের কোথাও রিজার্ভ পানির ব্যবস্থাও নেই। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে মালমালের ক্ষতির পাশাপাশি জীবন নিয়েও হুমকিতে পড়তে হবে।’
একাধিক বহুতল ভবনের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের অনেকটা আতঙ্কিত থাকতে হয়।’
যদিও ভবন মালিকরা বলছে, অগ্নিনিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে, তবে সংযোগ চালু করতে সময় লাগবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা) বিভাগীয় সমন্বয়ক লিঙ্কন বায়েন বলেন, ‘শহরের অধিকাংশ ভবনেই প্রকৃতপক্ষে নেই আগুন নিরোধক ব্যবস্থা। এ অবস্থায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে প্রাণহানি ও অর্থনৈতিক ক্ষতি ভয়াবহ হতে পারে।’
সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে খুব শীঘ্রই অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়ার কথা বলেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন সিকদার জানান, ‘পাঁচ লাখ মানুষের বসবাসের এ শহরে ৯৫ শতাংশ ভবনেই নেই আধুনিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা। তবে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নিয়মিত তদারকি চলছে।’


