বরিশাল
চরকাউয়ায় নানা অপকর্মের মূলহোতা বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক সাদ্দাম!
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের নয়ানী গ্রামে নানা কৌশলে অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে সাদ্দাম হোসেন নামের এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে। তিনি কখনো আওয়ামী লীগ, কখনো বিএনপি ও কখনো আবার সাংবাদিক পরিচয়ে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
জানা গেছে- সাদ্দাম হোসেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চরকাউয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাদের একান্ত সহযোগী ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে বিগত দিনে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় বিভিন্ন অপকর্মসহ চাঁদাবাজির ত্রাস চালিয়েছে। ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান আহমদ খান চরকাউয়া নয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালেয়ের সভাপতি থাকাকলীন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সাইনবোর্ড ব্যাবহার করে দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে চরকাউয়া নয়ানী মাধ্যমিক বিদয়ালয়ের অফিস সহয়াক পদে চাকরি নেয় সাদ্দাম। এ ঘটনায় বরিশাল আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে মামলা নং ৪০২/২৪)।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সাদ্দামের একাধিক ছবি ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুল হক খান মামুনের কর্মী হিসাবে নির্বাচনী প্রচারণায় তাকে দেখা গেছে। ২০২৪ সালের ৫ই আগষ্ট আওয়ামী সরকার পতনের পরে সুর পাল্টে তিনি বিএনপির সাথে যুক্ত হয়ে নানা কর্মসূচিতে যো। বেশ কিছু দিন আগে তার বিরুদ্ধে চাঁদার দাবিতে ফুজি ব্রিকস মালিক এবং চরকাউয়া ইউনিয়নের নুরননী নামে এক যুবকের বাড়িতে হামলার অভিযোগে মামলাও হয়েছে (মামলা নং ১১০/২৫)। সেই মামলায় তিনি ৪ নম্বর আসামী।
সম্প্রতি তিনি নয়ানী গ্রামের চালের ডিলার মিন্টু হাওলাদারের কাছে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি করেন। মিন্টু চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে নানাভাবে হয়রানি করছেন। এছাড়াও তিনি বরিশাল জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহীনকে নিজের মামা পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও হুমকি দিয়ে আসছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নয়ানী গ্রামের চালের ডিলার মিন্টু হাওলাদার জানান, তার কাছে সাদ্দাম হোসেন সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি করলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন। এরপর থেকেই তাকে হয়রানি করে আসছে সাদ্দাম। এমনকি সাদ্দাম জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহীনকে মামা পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও হুমকি দিয়ে আসছে।
বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপি নেতারাও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন।
চাঁদাবাজির সকল অভিযোগ অস্বীকার করে সাদ্দাম হোসেন বলেন- মামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা, আমি কখনও কোন নোটিশ পাইনি। আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
এদিকে সাদ্দামের চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অপকর্মের হাত থেকে মুক্তি পেতে এলাকার নিরীহ অসহায় মানুষ প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছেন।