বরিশাল
রাম দা তৈরি করতে অনীহা: কর্মকারকে পেটানোর অভিযোগ
বরিশাল নগরীতে রাম দা তৈরি করতে অনীহা প্রকাশ করার কারণে বিশ্বজিৎ দাস নামে এক কর্মকারকে অপহরণের পর জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ এ কল করলে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিশ্বজিতকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বিশ্বজিতের গ্রামের বাড়ি নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নে। বিশ্বজিৎ ওই গ্রামের নগেন দাসের ছেলে। হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত কর্মকার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, দপদপিয়া ইউনিয়নের সামনেই আমার একটি দোকান রয়েছে।
সেখানে প্রায় সময় রাম দা,বগি দা ও বিভিন্ন প্রকারের অবৈধ বাংলা দা তৈরি করতে আসতো রাকিব ও রাজিবসহ একাধিক যুবক। সম্পর্কে তারা সহোদর। নলছিটি দপদপিয়া গ্রামের বাসিন্দা আমীর আলী সিকদারের ছেলে তারা।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে আমি আমার বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। এসময়ে দপদপিয়া ব্রীজের টোল ঘরের সামনে থেকে আমাকে রাকিব ও রাজিবসহ একাধিক যুবক অপহরণ করে একটি সিএনজিতে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে আমি ডাকচিৎকার দিলে সিএনজি চালক আমাদের সবাইকে পথিমধ্যে নামিয়ে দিয়ে চলে যান।
এসময়ে ক্ষিপ্ত হয়ে,আমাকে রাস্তার ওপর ফেলে টানাহেঁচড়া করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায় ওরা। এতে বাধা দিলে আমার মুখ চেপে ধরে রাজিব ও রাকিব আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে জিআই পাইপ দিয়ে প্রথমে আমার মাথায় আঘাত করে।
এরপর শরীরের বিভিন্ন স্থানে অর্থাৎ পা থেকে মাথা পর্যন্ত এলোপাতাড়ি পেটায়। একপর্যায়ে রাজিব ও রাকিবের সাঙ্গপাঙ্গরাও আমাকে বেধড়ক মারধর করে।
এসময়ে স্থানীয়রা ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তাছাড়া হামলাকারীরা সকলে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্বজিতের ওপর হামলার পর থেকে রাজিব-রাকিব ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। যেকারণে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।