বরিশাল
বরিশালে অবৈধভাবে এমইপি’র দখলে চলাচলের রাস্তা
বরিশালে এমইপির দখলে বিসিসি’র সড়ক দুর্ভোগে জনসাধারণ। শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পড়ে নজরে এসেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্মকর্তাদের। সরেজমিন পরিদর্শন করে বিসিসি।
গত (৫ জুন) বৃহস্পতিবার সংবাদ প্রকাশ করায় আজ (১৯জুন) বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সরেজমিন পরিদর্শন করে উচ্ছেদ শাখার কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য বরিশাল সিটি করপোরেশনের আওতাধীন জনসাধারণের চলাচলের সড়ক, ড্রেন, আটকিয়ে এমইপি’র ফ্যাক্টরী নির্মাণ করায় জনসাধারণের ক্ষোপ প্রকাশ!
নগরীর ৬ নং ওয়ার্ড হাটখোলা (গগনগলী) এলাকার দীর্ঘদিনের জনসাধারণের চলাচলের খান মজিবর রহমান সংযোগ সড়ক আটকিয়ে ও প্ল্যান বিহীন,এমইপি’র ফ্যাক্টরী করার অভিযোগ করে স্থানীয়রা।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করায় সকল কর্মকর্তাদের সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী। সুমন নামে এক যুবক বলেন, আমার বাসা কসাই খানা। আমি গগণগলী মৎস্য শ্রমিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়াশোনা করেছি। তখন সল্প সময়ে স্কুলে আসার জন্য খান মজিবর রহমান সড়ক ব্যবহার করেছি।
কিন্তু বিগত স্বৈরাচার সরকার আমলে ক্ষমতার বলে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা, ড্রেন, সরকারী কলসহ সড়কটি এমইপি দখল করে আটকিয়ে দেয়। এছাড়াও ফ্যাক্টরিতে তৈরী কেমিক্যালের পানির দুর্গন্ধ অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
একই এলাকার বাসিন্দা রুনু বেগম জানান, এখানের বেশকিছু জমি সরকারের এই জায়গায় যারা বসবাস করেছে সবাই সরকারী জমি দখল করে বসবাস করেছিলেন। কিন্তু একই এলাকায় এমইপি হওয়ায় তারা সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সল্পমূল্যে জমি কিনে ফ্যাক্টরী নির্মাণ করেছে।
যারা এখানে বসবাস করেছে তারা তাদের বসতঘর এমইপি’র কাছে বিক্রি করে চলে গেছে। কিন্তু সরকারী রাস্তা কেউ বিক্রি করেনি। এমইপি জোরপূর্বক রাজনৈতিক দলের নেতাদের অনৈতিক সুবিধা দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা আটকিয়ে দেয়। এছাড়াও এমইপির শ্রমিকদের টয়লেটে ব্যবহারের পানি ড্রেনে লাইন করায় দুর্গন্ধে থাকা যাচ্ছে না।
আঃ খালেক মিয়া বলেন, আমি পাকিস্তানের আমল থেকেই এই এলাকায় বসবাস করছি। হাটখোলা(কাঠের ঘোলা) এলাকায় ছোটো পরিসরে মোহম্মদ আলী ইলেকট্রনিকস কোঃ নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়।তাদের ইলেকট্রনিক সামগ্রী পন্য ভালো মানের হওয়ায় আর পিছনে তাকাতে হয়নি।
তারা দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও আমদানি ও রপ্তানি করে থাকেন। এতে বরিশালের সুনাম বেড়েছে। কিন্তু স্থানীয় পর্যায় সাধারণ মানুষ তাদের হয়রানির শিকার হয়েছে। এবং গগণগলী বাজারে গেলে এমইপি’র দেওয়ালে ফাটল দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, এমইপি জোরপূর্বক বিসিসি’র সড়ক, ড্রেন, ডিপ টিউবওয়েল,আটকিয়ে সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করে যাচ্ছে। আমরা বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, জনসাধারণের চলাচলের রাস্তাটি দখলমুক্ত করে দেওয়া হোক।
এবিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারি বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকায় কোনো খাল,ড্রেন, জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা, আটকিয়ে ফ্যাক্টরী, গোডাউন,বাসাবাড়ী করা যাবে না।
যদি এধরণের কোনো কোম্পানি রাস্তা আটকিয়ে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, জনগনের দুর্ভোগ কমাতে নগরীর বিভিন্ন অপসোস্যালাইন কোম্পানিসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু কোম্পানিকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।