বরিশাল
নগরীতে পুলিশ ফাঁড়ির জমিতে পুলিশ কনস্টেবল সুলতানের অবৈধ ঘর নির্মাণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল নগরীর ৭ নং ওয়ার্ডে কাউনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির কোয়াটারের সরকারের জমি দখল করে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। সরকারি আইন ও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কোর্ট পুলিশ কনস্টেবল সুলতান ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, কাউনিয়া ব্রাঞ্চরোডে আছমত মাস্টার সরকারী প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন বহু পুরানো একটি পুলিশ ফাড়ি রয়েছে। এ ফাড়িকে কেন্দ্র করেই এলাকার এ অংশের নামকরণ হয়েছিল ব্রাঞ্চরোড পুলিশ ফাড়ি। প্রায় ২/৩ যুগ আগে এখানে কিছু পুলিশ কনেষ্টবল থাকত, এখন পুরো জায়গাটি প্রায় পরিত্যক্ত। তবে একজন কনেষ্টবল দীর্ঘদিন পর্যন্ত এখানে থাকছেন। বর্তমানে তিনি সরকারী এ জমিতে নিজে টিনশেড ভবন নির্মান শুরু করায় প্রতিবেশীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, কাউনিয়া ব্রাঞ্চ রোডের পুলিশ ফাঁড়ির কোয়াটারে অনুমতিবিহীন টিনশেড ভবন নির্মান কাজ করছেন কয়েকজন শ্রমিক। তাও আবার করেনার মধ্যে সামাজিক দুরত্ব না মেনে কাজ করছে শ্রমিকরা।এ সময় ভবন নির্মান সংক্রান্ত অনুমতি দেখতে চাইলে কেউ তা দেখাতে পারেননি। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন,কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই তিনি দীর্ঘদিন যাবত সরকারি কোয়াটারে অনুমতিবিহীন ভবন নির্মান করে যাচ্ছেন। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে সরকারি জায়গার গাছ কেটে বিক্রিরও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। অনুমতিবিহীন এই ভবন নির্মান সংক্রান্ত বিষয়ে কোর্ট পুলিশ কনস্টেবল সুলতানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, দীর্ঘদিন যাবত তিনি পুলিশের কাউনিয়া ফাড়ির কোয়াটারে বসবাস করছেন। সরকারী জমিতে টিনশেড ভবন নির্মানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন কোন অনুমতি গ্রহণ করা হয়নি বা সিটি কর্পোরেশন থেকে কোন প্লান পাশ কিংবা সরকারিভাবে কোন টেন্ডারও নেই। তিনি নিজ উদ্যোগে এ কাজ করছেন। এ ব্যাপারে কাউনিয়া থানার ওসি জানান, যে কোন সরকারি কোয়াটারে সরকারের অনুমতি ছাড়া ভবন নির্মান করার কোন সুযোগ নেই। এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ পেলে নিশ্চই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।