সারাদেশ
পবিত্র কোরআন পোড়ানোয় সাধু গ্রেপ্তার, দায় স্বীকার
নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পবিত্র কোরআন শরীফ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টার অভিযোগে হরিদাস বর্মণ (৫০) নামে এক সাধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী। সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷
অভিযুক্ত সাধু হারিদাস বর্মণ পৌর শহরের পঞ্চবটি এলাকার মনোরঞ্জন বর্ষণের ছেলে। বর্তমানে তিনি জগন্নাথপুর দক্ষিণপাড়া এলাকা হাজী রেনু মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বাস করতেন।
পুলিশ জানায়, গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ভৈরব শাখার সভাপতি চন্দন কুমার পাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সাধু হরিদাস বর্মণের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। পরে তিনি পুলিশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নিদের্শনা দেন।
অভিযোগকারী জানান, হরিদাসের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকল্পে দাঙ্গা বাধিয়ে সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করবে বলেন হুমকি পান। এতে সনাতন ধর্মালম্বীরা আতঙ্কিত হয়ে ভৈরব থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে ১৭ মার্চ সকালে পৌর শহরের জগন্নাথপুর দক্ষিণপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় তার কাছে কোরআন শরীফ পোড়ানোর আলামত উদ্ধার করা হয়। পরে সাধু হারিদাস বর্মণকে অভিযুক্ত করে এস আই এমদাদুল কবির বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, হরিদাস বর্মণকে জিজ্ঞাসাবাদ ব্যক্তিগত স্বার্থে ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত হানতে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া ভৈরবের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভীতি প্রদর্শন করে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করেন। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’