ঝালকাঠি
ঝালকাঠিতে ইফতারের সময় ডাকাতির চেষ্টা, পুলিশসহ আহত ৫
ঝালকাঠি শহরের প্রাণকেন্দ্র ডাক্তারপট্টিতে (স্বর্ণকার পট্টি) ডাকাতির চেষ্টা করেছে এক দল ব্যক্তি। আজ রোববার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় ইফতার চলাকালে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা চালানো হয়। ঘটনার সময় বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে ঝালকাঠি শহর।
এ সময় সাতটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের গ্লাসে দুটি গুলি লাগে। এতে গ্লাস বেদ করে গুলি বের হয়ে যায়। কিন্তু কেউ আহত হননি। বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতেরা একটি মিনি পিকআপে করে শহরের সাধনা মোড় হয়ে ফায়ার সার্ভিস চাদকাঠি হয়ে ঝালকাঠি বরিশাল সড়কে উঠে ষাটপাকিয়া হয়ে বরিশালের দিকে চলে যায়।
এ সময় ফায়ার সার্ভিস মোড়, জেলা পুলিশ লাইনের সামনে, ষাটপাকিয়া স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ডাকাতেরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এতে দুজন পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
ঘটনার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঝালকাঠি শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসরেরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার জন্য এমনটা করেছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য তারা ডাকাতি চেষ্টা ও বোমা বিস্ফোরণ এবং গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। জেলা বিএনপি এই ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই ধরনের অরাজকতা ও অপকর্ম প্রতিরোধ করবে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, মাগরিবের নামাজের সময় শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকায় ডাকাতির চেষ্টার ঘটনা ঘটে। কিন্তু স্থানীয় জনগণ ও পুলিশ সদস্যরা তাদের প্রতিহত করেছেন। তবে ককটেল বিস্ফোরণ করতে করতে পালিয়ে যায় ডাকাতেরা। শহরে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন আছে। সেনাসদস্যরা টহলে রয়েছেন। বিভিন্ন স্থানের সিসি ফুটে যাচাই করে ডাকাতদের শনাক্ত করা হবে।