বরিশাল
বরিশালে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস চুক্তি বাতিল দাবিতে বিক্ষোভ
সরকারের আর্জেন্ট এলএলসি-এর সঙ্গে করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) চুক্তির বিরুদ্ধে বরিশালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে পরিবেশবিদরা।
শনিবার দুপুরে নগরীর সদর রোডের সার্কিট হাউজের সামনে এ কর্মসূচি হয়। প্রান্তজন, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এ কর্মসূচি করেছে। কর্মসূচিতে অবিলম্বে চুক্তি বাতিলের দাবি জানান পরিবেশকর্মীরা।
সমাবেশে বক্তৃতা দেন, ক্যাবের সম্পাদক রনজিৎ দত্ত, প্রান্তজনের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম শাহাজাদা, পরিবেশ ও উন্নয়ন ফোরামের সদস্য শুভংকর চক্রবর্তী, পরিবেশ ও উন্নয়ন ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শুভাষ দত্ত প্রমুখ।
সমাবেশে ক্যাবের সম্পাদক রনজিৎ দত্ত বলেন, এই চুক্তির ফলে ব্যয়বহুল জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা বাড়ছে, অথচ সাশ্রয়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্প উপেক্ষিত হচ্ছে।
তারা হুঁশিয়ারি দেন যে, এলএনজি আমদানি দেশের অর্থনীতিকে দুর্বল করবে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বাড়ায় উপকূলীয় জনগোষ্ঠী জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাবের মুখে পড়বে, তা আর কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
প্রান্তজন এর নির্বাহী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম শাহাজাদা বলেন, বাংলাদেশকে জ্বালানি নিরাপত্তার পথে এগোতে হবে, ব্যয়বহুল ও পরিবেশবিরোধী এলএনজি আমদানির ফাঁদে নয়।
কর্পোরেট স্বার্থে জীবাশ্ম জ্বালানির চুক্তির বদলে আমাদের সৌর ও বায়ু বিদ্যুতে বিনিয়োগ করা জরুরি। পরিবেশ ও উন্নয়ন ফোরামের সদস্য শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, এলএনজি আমদানি বন্ধ করে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে বাংলাদেশকে একটি পরিবেশবান্ধব শক্তির দেশে পরিণত করতে হবে। এখন সময় এসেছে, পরিবেশবান্ধব শক্তি ব্যবহারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব শক্তির বাংলাদেশ গঠন করা এখন সময়ের দাবি। আমাদের দেশের জন্য এক টেকসই এবং পরিবেশসম্মত শক্তির ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে হবে।