বরিশাল
ঋণের টাকা না পেয়ে হাসিনা বেগমকে হ’’ত্যা, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘা’ত’ক গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক : পাওনা দেড় লাখ টাকা আদায় করতে না পেরে স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়ায় তিন সন্তানের জননী গৃহবধূ হাসিনা বেগমকে। পরে লাশ গুম করতে বাড়ির পার্শ্ববর্তী কীর্তনখোলা নদীর শাখা খালে মৃতদেহ ভাসিয়ে দেন প্রতিবেশী ফিরোজ হাওলাদার।
হত্যার ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর এমনই স্বীকারক্তি দিয়েছেন অভিযুক্ত ফিরোজ হাওলাদার (৩৬)। তিনি সদর উপজেলার চরকাউয়া খেয়াঘাট এলাকার খন্দকার বাড়ির মো. ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চরকাউয়া এলাকার খাঁন বাড়ির পিছনের খাল থেকে গলায় ফাঁস দেয়া গৃহবধূ হাসিনা বেগম (৪০) এর ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
হাসিনা চরকাউয়া বাস শ্রমিক ইউনিয়নের লাইনম্যান ও ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. ওমর আলীর স্ত্রী। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. হাসান বাদী হয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যার রহস্য উদঘাটন ও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘটনার পর পরই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে বন্দর থানা পুলিশ। এর ধারাবাহিকতায় বিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) বেলাল হোসাইনের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক ছগির হোসেনের টিম তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা ও গুপ্তচর নিয়োগের মাধ্যমে অভিযুক্ত ফিরোজ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার কাছ থেকে নিহত গৃহবধূর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, গলার স্বর্ণের ২টি চেইন, ২টি আংটি, এক জোড়া কানের দুল এবং এক জোড়া হাতের বালা উদ্ধার করেন।
ওসি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফিরোজ হাওলাদার হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন পাঁচ বছর পূর্বে দেড় লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন হাসিনা বেগম। টাকা না দিয়ে ঘুরাচ্ছিলেন। এ নিয়ে ঘটনার পূর্বে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
একপর্যায় গৃহবধূকে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। পরে মৃতদেহ গুম করার জন্য খালের পানিতে ফেলে দেয়। তবে টাকা ধার দেয়ার বিষয়টি সত্যি কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে। তদন্তে সব কিছু বেরিয়ে আসবে বলে জানান ওসি।