বরিশাল
বাবুগঞ্জে নিখোঁজ ছাত্রদল কর্মীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের বাবুগঞ্জে নিখোঁজ হওয়ার ৪ দিন পরে ছাত্রদল কর্মী রাব্বি খানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ মিলেছে বাড়ির অদূরে রাস্তার পাশে। বুধবার সকালে উপজেলার পূর্ব রহমতপুর এলাকায় তার গ্রামের বাড়ি থেকে আনুমানিক ৫০০ গজ দূরে রহমতপুর-মোহনগঞ্জ সড়কে একটি পরিত্যক্ত গোডাউনের পাশে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। এসময় পা বাঁধা, হাত ভাঙা এবং দু’চোখ উপড়ানো অবস্থায় তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। গত ১৮ জানুয়ারি (শনিবার) রাত ১২ টার দিকে রহমতপুর এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় রাব্বি।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে তাকে অপহরণের পরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। রাব্বি খান (১৯) বাবুগঞ্জ উপজেলার পূর্ব রহমতপুর গ্রামের বাচ্চু খানের ছেলে এবং বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির রহমানের ছোটভাই। রাব্বি নিজেও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সবুজ আকন গ্রুপের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। শনিবার রাতে তিনি নিখোঁজ হওয়ার একদিন পরে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিল তার পরিবার। বুধবার সকালে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।
নিহতের বড়ভাই বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির রহমান জানান, রাজনৈতিক কারণে স্থানীয় একটি গ্রুপের সাথে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরেই শনিবার রাতে রাব্বিকে ফোন করে ডেকে নিয়ে অপহরণ করা হয়। এরপরে বহু জায়গায় খুঁজেও তার আর হদিস পাওয়া যায়নি। ৩ দিন অজ্ঞাত জায়গায় আটকে নির্মম নির্যাতন করার পরে তাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে।
নিহত রাব্বির বাবা বাচ্চু খান বিলাপ করে বলেন, ‘আমার ছোট ছেলেটাকে ওরা পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। হত্যার আগে আমার ছেলের ওপরে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছে। তাঁর দুই চোখ তুলে নিয়েছে। হাত ভেঙে সারা শরীর জখম করেছে। কতটা কষ্ট দিয়ে মেরেছে আমার ছেলেকে! আমি খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির শিকদার বলেন, ‘পূর্ব বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পরে রাব্বির লাশ মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময়ে রহমতপুর-মোহনগঞ্জ সড়কে একটি পরিত্যক্ত গোডাউনের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আমরা। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। ঘটনার সাথে সন্দেহভাজন কিছু ব্যক্তির নাম এসেছে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’ #