বরিশাল
কলিমউল্লাহকে ববির কমিটিতে রাখায় শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি পেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক ভিসিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে মনোনয়ন দেয়ার প্রতিবাদে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। রবিবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের মাধ্যমে ভিসির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বেরোবির সাবেক ভিসি (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক) ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য মনোনয়ন দিয়েছে ঢাবি। বিষয়টি এখনো প্রসেসিং রয়েছে। শিক্ষার্থীরা অবজারভেশনের মাধ্যমে জানতে পেরে স্মারকলিপি দিয়েছে। সেটা গ্রহণ করা হয়েছে।
ভিসির কাছে দেয়া স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেছে, বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি বিতর্কিত ব্যক্তি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। বিষয়টি পীড়াদায়ক উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বিগত আওয়ামী আমলে সবগুলো পাতানো নির্বাচনকে বৈধতা দিতে তার নিয়ন্ত্রিত জানিপপের মাধ্যমে স্বৈরশাসকের সহযোগি হিসেবে কাজ করেছেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকাসহ টেলিভিশন টকশোতে স্বৈরশাসক আওয়ামী প্রশাসনের তৈলমর্দন করেছেন। এর প্রতিদান হিসেবে বেরোবিতে ভিসি হয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেন। তৎকালীন বেরোবি প্রশাসক তার দুর্নীতির ৭৯০ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র প্রকাশ করে। বিতর্কিত ও আওয়ামী সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল, পরীক্ষা কমিটি ও পূর্বের চাকুরি গণনা কমিটিতে স্থান পাওয়ায় ছাত্র জনতার আত্মত্যাগের মহিমাকে কলুষিত করছে। তাকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থানের অনুমতি দেয়ার ফলে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এ সিদ্বান্তের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা এক হয়ে লড়াই করতে বদ্ধ পরিকর। শিক্ষার্থীরা সর্বাত্মকভাবে তাকে বয়কট করায় কোনভাবেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তার উপস্থিতি মেনে নেবে না।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সুজয় শুভ বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের বিষয় নয়। সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে একসেস কোনভাবে মেনে নেয়া হবে না। এতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সমাধান চাওয়া হয়েছে। তারা যদি সমস্যা সমাধান না করে, তাহলে শিক্ষার্থীরা নিজেরা সমাধান করবেন।