বরিশাল
বরিশাল নৌ বন্দর থেকে ঘাট ইজারার শিডিউল ছিনতাই
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল নৌ বন্দর থেকে হিজলার একটি লঞ্চঘাটের ইজারার শিডিউল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৭ নভেম্বর) নৌ টার্মিনাল ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে শিডিউল জমা দেয়ার মাত্র ১০ মিনিট পূর্বে বেলা ১২ টা ৫০ মিনিটের সময় পে-অর্ডারসহ শিডিউলটি ছিনতাই করা হয়। তবে এ ঘটনায় পোর্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষথেকে কোন প্রকার আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে ভুক্তভোগী জানিয়েছেন।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ছিল হিজলার বাবুগঞ্জ নামক লঞ্চঘাটের ইজারার শিডিউল জমা দেয়ার শেষ দিন। দুপুর ১ টার মধ্যে শিডিউল জমা দেয়া এবং ৩ টার সময় প্রকাশ্যে দরপত্র খোলার সময় নির্ধারণ ছিলো। আর বাবুগঞ্জ লঞ্চঘাটের ৩টি দরপত্র বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে ধুলখোলা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক দাবিদার সগির আহমেদ ও একই ইউনিয়নের বিএনপি নেতা জাকির ২টি শিডিউল ক্রয় করেন। আর বাকি ১টি ক্রয় করেন উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের মৎস্যজীবী দল সভাপতি কালু ঢালী। কিন্তু সগির ও জাকির শিডিউল জমা দিলেও কালু ঢালির শিডিউলটি জমা দেয়ার পূর্বেই ছিনতাই করা হয়।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও কালু ঢালির পক্ষে শিডিউল জমা দিতে আসা নয়ন জানান, নৌ টার্মিনাল ভবনের দ্বিতীয় তলায় শিডিউল জমা দেয়ার কক্ষে ঢুকে শিডিউল জমা দেয়ার সময়ই ৩-৪ জন যুবক এসে আমার থেকে শিডিউলটি ছিনিয়ে নেয়। তখন আমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বরিশাল মহানগর যুবদলের এক নেতার লোক বলে পরিচয় দেন।
নয়ন আরো জানান, এসময় ওখানে ওই অফিসের অনেক লোক থাকলেও কেউ কিছু বলেনি।
এদিকে ভুক্তভোগী কালু ঢালি বলেন, আমার পেঅর্ডারের চেকও নিয়া যাওয়ায় আমি এখন আমার জামানতও তুলতে পারবোনা। আমি আমার জামানত ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ঘটনায় পোর্ট অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শিডিউল ছিনতাইয়ের ঘটনা জামাল ঢালি নামে হিজলার এক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমাকে জানান। কিন্তু যখন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে তখন আমাকে জানালে আমি তাৎক্ষণিক প্রশাসনের সাহায্য নিতাম।
তবে দরপত্র জমা ও খোলার দিনে কেন প্রশাসনের সাহায্য নেয়া হয়নি জানতে চাইলে পোর্ট অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বলেন- অর্থনৈতিক বাজেট কম তাই প্রশাসনের সদস্যদের রাখা হয়নি।