জাতীয়
হাসিনাসহ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাইবে তদন্ত সংস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে পতন হওয়া সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কয়েকজন মন্ত্রী, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, ১৪ দলের নেতা হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন ও নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
নিহত তিন শিক্ষার্থীর পরিবার পৃথকভাবে গণহত্যার অভিযোগ এনে এ আসামিদের বিরুদ্ধে তিনটি আবেদন দায়ের করেছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক আতাউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, কোর্ট রিফর্ম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ওনাদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউটরের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য আবেদন করবো। প্রসিকিউশন টিমও রিফর্ম করতে হবে।
আবেদনগুলোর মধ্যে একটি হলো, গত ৪ আগস্ট মিরপুরের দেশ পলিটেকনিক কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নিহত শাহরিয়ার হাসান আলভীর (১৫) বাবা মো. আবুল হাসানের করা অভিযোগ। এটি গত ১৯ আগস্ট দায়ের করা হয়। আবেদনে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়া ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জেপির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, তরীকত ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান নিখিলসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনসমূহ এবং অজ্ঞাত ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, গত ৩০ জুলাই আসামিরা আন্দোলন দমানো ও হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করার জন্য বৈঠকে বসে এবং সর্বসম্মতিক্রমে সব শক্তি প্রয়োগ করে আন্দোলন দমানোর জন্য সিদ্ধান্ত নেয়। আরেকটি আবেদন গত ২০ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগং রোডে নিহত মো. মেহেদীর বাবা মো. সানাউল্লাহর পক্ষে ১৫ আগস্ট করা হয়। তৃতীয় আবেদনটি নিহত সিয়ামের বাবা বুলবুল কবির ১৪ আগস্ট দায়ের করেন। এই তিনটি অভিযোগেরই তদন্ত করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।