বরিশাল
বরিশালে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে উল্টো ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে মামলা!
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল নগরীতে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষন করার চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে উল্টো ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন লম্পট রফিক। গত (১৫ এপ্রিল) দুপুর এক টার সময় সাগরদী ধান গবেষনা রোড এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগীর (মা) ফাতেমা বেগম জানান,গত (১৫ এপ্রিল) দুপুর এক টার সময় আমার মেয়ে ছদ্দনাম ছনিয়া(১১) ঢাকায় ননদের বাসায় থাকিয়া ৫ম শ্রেনীতে পড়ালেখা করে। আমার মেয়ে ঈদ উপলক্ষে আমার বাড়ীতে বেড়াতে আসে।
বাড়ীর সামনে দোকান আছে। সেই দোকানে আমার মেয়েসহ ছোট ছেলে (৭বছর) এবং ননদের ছেলে (৬বছর) মেহেদী ও খাবার কেনার জন্য যায়। পরবর্তীতে আমার ছোট ছেলে ননদের ছেলে খাবার নিয়া বাসায় চলিয়া আসে এবং আমার মেয়ে দোকানে মেহেদী কেনার জন্য অপেক্ষা করিতে থাকে।
এসময় মোঃ রফিক (৫২), পিতা-মৃত আফছার উদ্দিন,পূর্ব রুপাতলী, ২৪নং ওয়ার্ড, ধান গবেষনা রোড। তার দোকানে একা পেয়ে আমার নাবালিকা মেয়েকে বিভিন্ন কথাবার্তা শুরু করে এবং কথার ছলে ফেলাইয়া একপর্যায়ে। সেই সুযোগে তার রুমে নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে ধর্ষন করার চেষ্টাকালে আমার মেয়ে আসামীর সাথে ধস্তা ধন্তি করে এবং ডাক চিৎকার দেয়। তখন আমার মেয়ের ডাক চিৎকার শুনিয়া পার্শ্ববর্তী বাড়ীর লোকজন ঘটনাস্থলে হাজির হইলে আসামী দৌড়ে পালাইয়া যায়।
বিষয়টি স্থানীয় ভাবে জানাজানি হলে, মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য স্থানীয়রা সালিশ মীমাংসা করেন। উক্ত সালিশ মীমাংসা রফিককে এধরণের ঘটনা আর না ঘটায় তার জন্য সালিশদাররা বলে দেয়। সালিশ মিমাংসার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভাইরাল হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রফিক ৬ জনকে আসামী করে একটা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় হান্নান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে কোতয়ালী থানার পুলিশ।
এবিষয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের (দক্ষিণ) অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার ফজলুল করিম বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না,যদি এধরণের কোনো ঘটনা ঘটে। কেউ লিখিত দিলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোতয়ালী মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল বারী বলেন, ধর্ষন চেষ্টা ঘটনায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। আমরা এদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।