বরিশাল
রুপাতলিতে দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিলো প্রভাবশালীরা
বরিশাল ব্যুরো।।
বরিশালে প্রকাশ্যে দুটি চলমান দোকানে তালা দিয়েছে প্রভাবশালীরা। এতেকরে বিপাকে পড়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক।
বরিশাল নগরীর ২৪নম্বর ওয়ার্ডের রুপাতলি চান্দুর মার্কেট এলাকার থাইগ্লাসের ব্যবসায়ী সোহেল জানান, ঐ এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আবু তাহের সৈকতের কাছ থেকে ২০২৩ সালের ১জানুয়ারি তিন বছরের চুক্তিতে দোকান ভাড়া নেয়।
সেই থেকে থাইগ্লাসের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে সোহেল।
(১৪জুন) বুধবার সন্ধ্যায় সোহেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তাল দেয় হোগলা এলাকার মুজাহার আলী তালুকদারের ছেলে আনোয়ার হোসেন তালুকদারসহ ৪/৫ জন। এসময় সোহেলের পাশের স্টলেও তালা দিয়েছেন তারা।
পাশের দোকানদার লন্ড্রির মালিক দুলাল চন্দ্র বলেন, আমি সৈকতদের কাছ থেকে দোকান ভাড়া নিয়ে লন্ড্রি চালাচ্ছি দীর্ঘদিন যাবত। হঠাৎ বুধবার সন্ধ্যায় আনোয়ার হোসেন তালুকদার আমাকে দোকান থেকে বের করে দিয়ে দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়। এবং বলে এই দোকানের মালিক সৈকত নয়, মালিক আমি আনোয়ার তালুকদার।
এরপরে থাইগ্লাস ব্যবসায়ী সোহেল ও লন্ড্রি দোকানাদর দুলাল চন্দ্র স্টল মালিক আবু তাহের সৈকতের সাথে কথা বলে জানতে পারে আনোয়ার তালুকদারের সাথে সৈকতদের এই সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে।
সৈকতদের পত্রিক সম্পত্তিতে স্টল নির্মাণের পর ভাড়া নেয় আনোয়ার হোসেন তালুকদার ও তার ভাই।
সৈকত বলেন, আমার বাবা ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুর পাঁচবছর পর ২০২২ সালে আনোয়ার তালুকদার একটি দলীল বের করে।
যা ২০১৭ সালের ১২ই জানুয়ারি রেজিস্টারি হয়েছে। যাহা সম্পুর্ন জাল দলীল, কারন আমার বাবা মৃত্যর আগে অনেক মাস অসুস্থ ছিলো। সে কিভাবে মৃত্যুর দুই মাস আগে সাব রেজিস্টার অফিসে গিয়ে দলীল দিলো? আর আমার বাবা যদি জমি বিক্রি করে তাহলে তার মৃত্যর পাঁচবছর কেন তারা দলীল বের করলো?।
সৈকত বলেন, এটা আমাদের পত্রিক সম্পত্তি। আনোয়ার তালুকদার আমাদের দোকানের একসময়কার ভাড়াটিয়া ছিলো।
বাবার মৃত্যুর পাঁচবছর পর একটি ভুয়া দলীল দেখিয়ে সম্পত্তি দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন নতুন এই প্রভাবশালী নেতা। এবিষয়ে বরিশাল সদর সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আদালতই বিচার করবে।
সে আইনকে অমান্য করে বরিশালের নতুন আওয়ামীলীগের ক্ষমতার জোড়ে আমার পত্রিক সম্পত্তি দখল করতে চায়। তাই তারা আমার ভাড়াটিয়াদের চলমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে তালা মারে সিটি নির্বাচনের একদিন পরেই। আমি এঘটনায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, আমি ন্যয় বিচার চাই।