বরিশাল
প্রেরণা উদ্যম ও শক্তির বাতিঘর কাউন্সিলর প্রার্থী বাবু
এস.এন পলাশ ॥ সামজিদুল কবির বাবু বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনন্ত প্রেরণা ও শক্তির বাতিঘর। তিনি একজন সদা হাস্যোজ্জ্বল ও মিষ্টিভাষী হিসেবেই পরিচিত। নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ডের কালুশাহ সড়ক এলাকায় এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা মরহুম মোঃ হুমায়ুন কবির ছিলেন একজন সাহসী ও সৎ ব্যবসায়ী। বাবার কাছ থেকেই ব্যবসার হাতেখড়ি। ব্যবসায় বাবার দৃষ্টিভঙ্গি আর নীতিবোধ ধরে রেখে অল্প বয়সেই সাফল্যের দেখা পান বাবু।
এবারের বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৫ নং ওয়ার্ডের উন্নয়ন পরিকল্পনায় নাগরিকদের সম্পৃক্ততা ও কল্যাণের অঙ্গিকার নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। প্রথমবার মাঠে নেমেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন এই তরুন। মানুষের মাঝে মিশে গিয়ে নিজের সবটুকু দিয়ে সাহায্য সহযোগিতায় পাশে দাঁড়িয়েছেন। শৈশবেই এমন নৈতিক শিক্ষায় পারিবারিক ভাবেই দীক্ষিত হয়েছেন তিনি।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রীতি তার নির্বাচনী এলাকায় দিনরাত মানুষের মাঝে সময় দিচ্ছেন। এছাড়াও জনপ্রিয়তায়ও তিনি অনেকটা এগিয়ে আছেন। সূশীল সমাজ, তরুন-নবীন ও যুব-প্রবীণ সমাজে রয়েছে তার গ্রহণযোগ্যতা। তরুণ এ নেতা ইতিমধ্যে তরুণ ও যুব সমাজের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে বলে অনেকে মনে করছেন। তরুণ, যুবক ও মেহনতি মানুষ বাবুর পাশে দাড়িয়েছেন। দীর্ঘ দিন যাবৎ তিনি সমাজ সেবায় তৎপর রয়েছেন। জনহিতৈশী বাবার দেখানো পথেই হেটে চলছেন এই যুবক। বাবার মতো করেই এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসায়, এতিমখানা, মন্দির, অসহায়, দুস্থ ও গরীব মানুষদের আর্থিকভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সদা হাস্যময়, ভদ্র স্বভাব ও সুলভ আচরনের এ ব্যক্তিটি এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে সমাজকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে চান।
এ বিষয়ে বাবু বলেন, জনগন আমাকে নির্বাচিত করলে আমার জনসেবা করার পরিধি আরো ক্রমশ বৃদ্বি পাবে। এলাকার রাস্তা ঘাট, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও মন্দির উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবো। এলাকার সচেতন মানুষদের সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজী, চুরি, ডাকাতি, মাদক, নারী নির্যাতন, বাল্য বিবাহ ইভটিজিং রোধে সোচ্চার হবো। আমি ভক্ষক হতে চাই না। সকলের রক্ষক হতে চাই।
প্রাথীদের মূল্যায়ন করতে গিয়ে ১৫ নং ওয়ার্ডের আমিরকুটির এলাকার বাসিন্দা মজনু বলেন, সামজিদুল কবির বাবু একজন সৎ ও ন্যায় নিষ্ঠাবান ব্যক্তি। তার অর্থের কোন লোভী নেই। তিনি সমাজে বিত্তবান পরিবারের সন্তান। তিনি নির্বাচিত হলে এলাকার অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হবে। স্থানীয় ভোটাররা জানান, সামজিদুল কবির বাবু একজন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সৎ, ন্যায়-পরায়ন ও জনবান্ধব প্রকৃতির লোক। বিপদে, দূঃসময়ে আমরা তার নিকট থেকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা পেয়েছি এবং এখনো পাচ্ছি। এলাকায় সামাজিক ও পারিবারিক সহ বিভিন্ন কার্যকলাপে তার ভুমিকা অসীম। আমরা আসন্ন সিটি নির্বাচনে আমাদের এলাকা থেকে তরুণ প্রজন্মের একজন সৎ নির্বিক জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাকেই দেখতে চাই।
এদিকে আসন্ন সিটি নির্বাচনে ১৫ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থীর সংখ্যা ৭ জন। এরা হলেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার চুন্নু, ব্যবসায়ী মাহমুদ আলম চঞ্চল, মোঃ আবদুল কাদের শামীম, মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, মোঃ নকিবুর রহমান, মোঃ মাকছুদ আলম ও সামজিদুল কবির বাবু। এদের মধ্যে প্রচার প্রচারনা ও সাধারন মাঠ জরিপে এগিয়ে আছেন ব্যবসায়ী ও তরুন সমাজসেবক সামজিদুল কবির বাবু। তিনি বিগত কয়েক বছর যাবত বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত রয়েছেন।
এছাড়া বাকি প্রার্থীদের মধ্যে মাহমুদ হোসেন চঞ্চল এর আগেও দুবার নির্বাচনে অংশগ্রহন করলেও পরাজিত হয়েছেন। ক্ষমতাসীন দলীয় প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নু এলাকায় ভোটারদের নিয়ে শক্তিশালী বলয় তৈরী করতে না পারলেও দলীয় প্রভাবে তিনি একজন শক্ত প্রার্থী। তিনি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে বেশ পরিচিত। তবে সাদিক আবদুল্লাহ দলীয় মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়ায় নির্বাচনের প্রচার প্রচারনায় অনেকটাই চুপসে গেছেন তিনি। এছাড়া মাকছুদ আলম ও সিদ্দিকুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন বলে জানা গেছে। তবে এই দুজন প্রার্থী মধ্যে মো: সিদ্দিকুর রহমান নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়েও প্রচারনায় বেশ এগিয়েছেন। অপর এক প্রার্থী মোঃ নকিবুর রহমানের তেমন জনসমর্থন না থাকলেও নির্বাচন চালিয়ে যাবার ঘোষনা দিয়েছেন। যদিও ২০১৪ সালের সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহন করে নিজের জামানত খুইয়েছিলেন এই প্রার্থী। তবে ২৫ মে পর জানা যাবে এই ওয়ার্ডে কত জন প্রার্থী নির্বাচনী প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করবেন।
এদিকে সিটি নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাবু বলেন, আমার উদ্দেশ্য মহৎ। এছাড়াও আমি স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচনী এলাকার লোকজনের জন্য কাজ করতে চাই। নির্বাচিত হলে জনগনের সকল অভাব অভিযোগ আন্তরিকতার সঙ্গে নিরসনের চেষ্টা করবো। সকল জনগণকে সাথে নিয়ে সমন্বয় করে পরামর্শ অনুযায়ী উন্নয়নমুলক সবধরনের কাজ করবো। তাই এলাকায় মত বিনিময় ও জনসংযোগকালে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জনমত যাচাইয়ে অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে তুলনামুলক ভাবে তিনি অনেকটা এগিয়ে আছেন বলেও জানান।
উল্লেখ্য, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে ও পরে মিলিয়ে জনগনের নিরাপত্তা দিতে মাঠে পাঁচদিন কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি নগরীর ১২৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জনের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।