বরিশাল
বরিশালের কোচিং ব্যবসায়ীরা মানছেনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা
এস এন পলাশ।।
বরিশাল নগরীর কোচিং ব্যবসায়ীরা মানছেনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা। চলমান এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে একমাস দেশের সকল কোচিং বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও মানছে না বরিশাল নগরীর কোচিং ব্যবসায়ীরা।
বেশিরভাগ কোচিং গোপনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে সরজমিনে দেখা গেছে। শিক্ষার মান না থাকলেও শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীদের টাকা হাতানোই যেনো তাদের মূল টার্গেট।
সরজমিনে দেখা যায়, নামে-বেনামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে হরহামেশা। এদের বেশিরভাগ কোচিং-এ নেই ভালো মানের শিক্ষক। অল্প টাকায় পার্টটাইম শিক্ষক দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে কোচিং বাণিজ্য।
শুধু তাই নয়, কোনো ধরনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেন না তারা।
বরিশাল নগরীর অফিস বাসা বাড়ি সবখানেই রয়েছে নামে-বেনামে কোচিং।
অভিযোগ আছে, সকল কোচিং এর সাথেই রয়েছে স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ।
আর কোচিং না করলে শিক্ষকদের রোষানলে পড়তে হয় এমন অভিযোগ ও উড়িয়ে দেয়ার মত নয়।
কারন বরিশাল নগরীর বেশিরভাগ কোচিং এর পার্টনার কোনো না কোনো স্কুল কলেজের শিক্ষক।
তাই কোনো শিক্ষার্থী স্কুলে না গেলেও কোচিং এর খোঁজখবর রাখেন শিক্ষকরা।
নগরীর সদর গার্লস স্কুলের অপজিটে প্রায় ডজন খানেক কোচিং চলছে হরহামেশা। সোল একাডেমীর পরিচালক সৈকত বলেন, শুধু আমি নই, সবাই কোচিং চালায় তাই আমিও চালাই নিউজ করলে করতে পারেন তাতে আমাদের কিছু হবেনা।
একই কথা বলেছেন সাইন্স একাডেমীর পরিচালক তানজিল, তিনি বলেন আইনের কি আছে? সবাই চালায় তাই আমিও চালাই।
শুধু সোল ও সাইন্স একাডেমী-ই নয়, রীতিমত কোচিং পল্লীতে রূপান্তরিত হয়েছে ঐ গলিটি।
আর ডি টি কোচিং, সোল একাডেমী, সাইন্স একাডেমী, ডেফোডিল, ম্যারিয়ান চাইল্ড,ইংলিশ প্রাইভেট হোম, গনিত কেয়ার,গ্লোরি ইংলিশ কেয়ার,
সাইন্স কেয়ার, রাইট কোচিং, জালাল কোচিং, ব্রাইট একাডেমী সহ সকল কোচিং প্রকাশ্যেই চালাচ্ছেন তারা।
সদর গার্লস স্কুলের সামনে ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইন কে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
এবিষয় বরিশাল জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, চলমান এসএসসি পরীক্ষার একমাস কোনো ভাবেই কেউ কোচিং চালাতে পারবেনা।
কেউ যদি গোপনে কোচিং চালায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।