বরিশাল
নগরীতে পরকিয়া প্রেমের বলি পাচঁ বছরের শিশু
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীতে পরকিয়ার প্রেমের বলি হয়েছে পাচঁ বছরের শিশু আবির হোসেন জিহাদ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত শিশুর মা ও তার পরকিয়া প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (৩০ এপ্রিল) হোটেল বায়েজিদ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত তিনদিন আগে নগরীর বান্দ রোডে অবস্থিত হোটেল বায়জিদে একটি কক্ষ ভাড়া নেয় নিহত জিহাদের মা ও তার পরকিয়া প্রেমিক মিলন হাওলাদার। রবিবার দুপুরবেলা শিশু জিহাদ সিঁড়ি থেকে পরে মারা গেছে বলে জানায় জিহাদের মা ও পরকিয়া প্রেমিক মিলন । বিষয়টি হোটেল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে তারা কোতোয়ালি থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যায় কোতোয়ালি পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) আব্দুল মান্নান।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির লাশ দেখে হত্যাকান্ডের বিষয়টি সন্দেহ হলে শিশুর মা মরিয়ম বেগম ও তার পরকিয়া প্রেমিক মিলনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। তবে তারা দুজন নিজেদের স্বামী-স্ত্রী দাবী করলে বিবাহের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ধারনা করা যাচ্ছে বিবাহ নয়, মরিয়ম বেগমের সাথে মিলনের পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। মরিয়ম বেগমের কথিত প্রেমিক মিলন নগরীর কাশিপুর তেতুলতলা এলাকার শফিক হাওলাদারের ছেলে।
মিলন জানান, মরিয়ম বেগমের সাথে তার ছয়মাস পুর্বে বিবাহ হয়েছে। শেবাচিমে ডাক্তার দেখানোর জন্য তারা হোটেল বায়েজিদে একটি কক্ষ ভাড়া নেয়। রবিবার (৩০ এপ্রিল) হঠাৎ করেই হোটেলের সিড়ি থেকে পড়ে জিহাদ মারা যায়।
কোতোয়ালি থানার সাব-ইন্সপেক্টর আরাফাত হাসান বলেন, নিহত শিশুটি মরিয়ম বেগমের ছেলে। মিলন ও মরিয়ম বেগমের প্রেমের বাঁধা হিসেবে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান।
এবিষয় কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, বান্দ রোড হোটেলে একটি শিশুর নিহতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে সন্দেহ জনক হওয়ায় শিশুর মা ও তার পরকিয়া প্রেমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। তিনি আরো বলেন, শিশুটিকে ময়নাতদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।