বরিশাল
পালিয়ে গেছে মাদক সম্রাট বুলেটসহ চারজন
বেনাপোলে ফেনসিডিলসহ বরিশাল মডেল স্কুলের শিক্ষক আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক।। বেনাপোল থেকে ফেনসিডিলের বড় একটি চালান বরিশালে আনতে গিয়ে বিজিবির হাতে আটক হয়েছে বরিশাল মডেল স্কুলের এক শিক্ষক। যদিও সাথে থাকা অপর পাঁচ ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তাদের ধরতে তৎপর রয়েছে আইন শৃঙখলা বাহিনী। তাদের সাথেও রয়েছে মাদকের একাধিক চালান। করোনার ভয়াবহতার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশলে ফেনসিডিলের চালান আনছে। তাদের সহযোগী হিসেবে মাদক সেবীদের সাহায্য নিয়ে ফেনসিডিল পাচার চালিয়ে যাচ্ছে। শধু মাদক ব্যবসায়ীরাই নয়, ফেনসিডিল পাচারে পিছিয়ে নেই শিক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসক, ব্যাংক কর্মকর্তা ও বড় ব্যবসায়ীও নেমে পড়েছেন লাভজনক এই মাদক কারবারে। বেনাপোল থেকে এক বোতল ফেনসিডিল বরিশালে নিতে পারলেই নিট মুনাফা ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা। আর তাই ফেনসিডিল নিতে সুদুর বরিশাল থেকে বেনাপোলে মোটরসাইকেল হাকিয়ে ছুটে এসেছেন এক স্কুল শিক্ষক। তার সঙ্গে থাকা পাঁচজন পালিয়ে গেলেও বিজিবির চোখ ফাঁকি দিতে পারেনি সরকারি স্কুলের এই শিক্ষক। যশোর ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা জানান, সোমবার দুপুরে সীমান্তবর্তী পুটখালি সড়ক দিয়ে বেনাপোল বাজারে হয়ে বরিশাল যাওয়ার পথে শিকড়ি বটতলা নামক স্থানে একজনকে সন্দেহ করে টহল বিজিবি। পরে মোটরসাইকেল আরোহীকে থামিয়ে তার ঘাড়ে ঝুলানো স্কুল ব্যাগ তল্লাশি করে ৮০ বোতল ফেনসিডিল পায়। আটককৃত ব্যক্তি নজরুল ইসলাম সুমন (৪৪) বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারি শিক্ষক এবং বরিশালের সদর উপজেলার মকবুল আহমেদের ছেলে। নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, তারা ছয়জন বরিশাল থেকে মোটরসাইকেলযোগে বেনাপোলে ফেনসিডিল নিতে আসেন। ইতিপূর্বে অনেকবার তারা ফেনসিডিল নিয়ে গেছেন একই কায়দায়। গোটা বরিশাল শহরের মাদকের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে। নজরুল আরো জানায় তার সহযোগীরা হলো, আইনজীবি আলম রশীদ লিখন (৪২), বরিশালের সদর হাসপাতালের ডাক্তার মিঠু (৩৫), উত্তরা ব্যাংক কর্মকর্তা ডোনা(৩৫), বিশিষ্ট মাদক ব্যবসায়ী বুলেট(৪০) এবং মনির। তারা নিয়মিত বেনাপোলে এসে ফেনসিডিল নিয়ে যেত বরিশালে। আটক শিক্ষককে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।