বরিশাল
সিটি মেয়র-ইউএনও বাকবিতণ্ডা: ডিসির কাছে ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছে ইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন বরিশাল শহরের জিলা স্কুল ভোটকেন্দ্রে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’র (ইউএনও) মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা নির্বাচন কমিশন (ইসি) তদন্ত শুরু করেছে। কমিশন ওই ঘটনার লিখিত বক্তব্য চেয়েছে জেলা প্রশাসকের কাছে।
জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান,৩ দিনের সময় দিয়ে তার কাছে ঘটনার লিখিত প্রতিবেদন চাওয়া হয়। তিনি গত মঙ্গলবার প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন।
জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা- ২ এর উপ সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত পত্রে গত ১৭ অক্টোবর মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও ইউএনও বাকবিতণ্ডা ঘটনার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক জানান, জেলা স্কুল কেন্দ্রে ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলমের বক্তব্য নিয়েছেন তিনি। তবে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরপক্ষের (সিটি মেয়র) বক্তব্য নেওয়া হয়নি বলে জানান জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, ঘটনার সময় তিনি ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন না।
ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। ঘটনার সময় মেয়রের সঙ্গে ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতিবেদন চাওয়া প্রসঙ্গে তাদের কিছু জানা নেই। তাছাড়া ঘটনার সময় মেয়র ফেসবুক লাইভে ছিলেন। কি হয়েছে তা সকলেই দেখেছেন।
গত ১৭ অক্টোবর জেলা স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে যান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, প্যানেল মেয়র গাজী নইমুল ইসলাম লিটু ও রফিকুল ইসলাম খোকনসহ আরও কয়েকজন কাউন্সিলর। কেন্দ্রের বুথে প্রবেশ দরজায় পৌঁছার পর ভোটার ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ জানান সেখানে দায়িত্বরত সদর ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়র সাদিক ইউএনওকে ‘স্টুপিড’বলে ধমকান। তখন মেয়র ফেসবুক লাইভে ছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাটি নগরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরক্ষণে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।