বরগুনা
বেতাগীতে বিএনপির দুই গ্রুপের মিছিল, কেন্দ্রীয় নেতার ছবিতে জুতা
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরগুনার বেতাগীতে উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার ছবিতে জুতা ঝাড়ু নিক্ষেপ করেছেন বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা।
অন্যদিকে বিক্ষোভকে অবৈধ ঘোষণা করে সদ্য পদ পাওয়া কমিটির নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা মিছিল করেছেন। এতে মুখোমুখি সংঘর্ষ না হলেও পাল্টাপাল্টি মিছিল ও সভা হয়।
বৃহস্পতিবার বেতাগী খাসকাচারি মাঠে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহজাহান কবিরের নেতৃত্বে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লার ছবিতে জুতা ও ঝাড়ু দিয়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ করে।
মাঠের পশ্চিম পাশে অবস্থান নিয়ে বিএনপির একাংশের বিক্ষোভ মিছিলকে অবৈধ বলে শুভেচ্ছা মিছিল করে সদ্য ঘোষিত উপজেলা ও পৌর আহবায়ক কমিটির নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, বিগত ৮ আগষ্ট বরগুনার বেতাগীতে ১১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি ও ১৪ সদস্য বিশিষ্ট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেন বরগুনা জেলা বিএনপির নেতারা।
ওই কমিটিতে বিএনপির ত্যাগী ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের দলে পদ পদবী না দিয়ে টাকার বিনিময় পকেট কমিটি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা।
এসময় সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান কবির অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতা মামুন মোল্লা ও জেলা কমিটি মোটা অংকের টাকা উৎকোচ নিয়ে বেতাগী উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি দিয়েছেন, আমরা এই কমিটি বাতিল চাই।
তিনি আরো বলেন, যাকে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক দেওয়া হয়েছে সে নিজে একজন ধর্ষক।যে মামলায় সঠিক বিচার না পেয়ে ভুক্তভোগী আত্মহত্যা করেছেন।এমন একজন ব্যক্তি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হয় কীভাবে?
সদ্য ঘোষিত উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব গোলাম সরোয়ার রিয়াদ খান বলেন, যারা আজ বিক্ষোভ করেছেন তারা আওয়ামী লীগের এজেন্ট। তারা কমিটিতে পদ না পাওয়ায় মিথ্যাচার করছে। তাদের এই অবৈধ কার্যক্রম কোনোভাবে করতে দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লা মোবাইলে বলেন, বেতাগী উপজেলা ও পৌর কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন বরগুনা জেলা কমিটি। এখানে আমার কোন হাত নেই, তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আজ যাদের হাতে ঝাড়ু কাল তাদের হাতেই ফুল থাকবে। এটা নিয়ে আমি বিচলিত না।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব তারিকুজ্জামান টিটু বলেন, শাহজাহান কবির সংগঠন বিরোধী কাজ করছেন। কোন টাকার বিনিময়ে কমিটি দেওয়া হয়নি। ভোটের মাধ্যমে আহবায়ক নির্বাচিত হয়েছে। ২৯ ভোটের মধ্যে হুমায়ূন কবির ২৬ ভোট পেয়েছে। সুতরাং তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
তিনি আরেক প্রশ্নে বলেন, ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির পাল্টা অবস্থানকে সাধুবাদ জানাই। জনগণের জানা দরকার কারা দলের আর কারা আওয়ামী লীগের এজেন্ট। শাহজাহান কবিরের এহেন কর্মকাণ্ডে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।