কলাপাড়া
পদ্মা সেতু চালু হলে কলাপাড়ায় মৎস্য ব্যবসায় নতুন দিগন্তের সূচনা ঘটবে
নিজস্ব প্রতিবেদক , কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥ দক্ষিণের সাগরপারের জনপদ কলাপাড়ার অন্যতম মৎসবন্দর আলীপুর-মহিপুরের মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাছ পরিবহনের ভোগান্তির অবসান হতে যাচ্ছে। মৎস্য ব্যবসায়ীরা এক নতুন দিগন্তের অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। কাঙ্খিত ওই মাহেন্দ্রক্ষণ ২৫ জুন।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু খুলে দেয়ায় এ ব্যবসায়ীরা ৫০ বছরের দুর্ভোগ লাঘবের স্বপ্নে বিভোর রয়েছেন। দেড় শতাধিক আড়ত মালিকসহ হাজার হাজার জেলেরা সাগর থেকে তাঁদের আহরিত মাছ নির্দিষ্ট সময় ঢাকায় পৌছাতে পারবেন। সময় ও লোকসানের দুশ্চিন্তার অবসান হতে চলছে এসব ব্যবসায়ীর। আড়ত থেকে চালান করা মাছের গুনগত মান নষ্টের কোন শঙ্কা থাকছেনা। মাত্র ৬-৭ ঘন্টার মধ্যেই ঢাকার আড়তে পৌছাতে পারবেন মাছের চালান।
ফেরি পারাপারের দূর্ভোগের কারণে এমনিতেই দুপুরে মহিপুর-আলীপুর থেকে ছেড়া আসা মাছের ট্রাক পরেরদিনও কখনও কখনও পৌছতনা। আর এখন পদ্মা সেতু পেরিয়ে যেতে ভোগান্তি আর লোকসানের ঘানি টানতে হবেনা। বিকেলের মাছ বোঝাই ট্রাক রাত ১০টায় ছেড়ে আসলেও খুব সকালেই ঢাকার মার্কেট ধরতে পারবে। সময় এবং খরচ দুটোই কমবে।
কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহার দেয়া তথ্যানুসারে এবছর কলাপাড়ার মহিপুর-আলীপুর ও কুয়াকাটার বিভিন্ন আড়ত থেকে অন্তত ৪৬ হাজার মেট্রিকটন ইলিশ (২০-২১ অর্থবছরে) দেশের বিভিন্ন মোকামে চালান করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েক হাজার মেট্রিকটন সামুদ্রিক মাছও চালান করা হয়েছে। এসব মাছ পদ্মা সেতু চালু হলে ১৮ ঘন্টার পরিবর্তে মাত্র ৬-৭ ঘন্টায় ঢাকায় পৌছবে।
মহিপুর মৎস্য বন্দর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু করেছেন। যা ২৫ জুন খুলে দেয়ার কথা রয়েছে। আর এর ফলে আমরা মৎস্যজীবীরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছি। এখন এই মোকামের গুরুত্ব অনেক বাড়বে। বাড়বে বেচাকেনা। মৎস্যব্যবসায়ীরা সব চাইতে খুশি। পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলের মৎস্য ব্যবসায়ীরা যে স্বপ্ন দেখছে তা বাস্তবায়নে তারা এখন ক্ষণ গণনা করছেন।