গৌরনদী
ব্রিজে উঠতে লাগে সিঁড়ি
নিজস্ব প্রতিবেদক , বরিশাল ॥ টানা প্রায় ২৫ বছর ধরে খালের ওপর নির্মিত ব্রিজে উঠতে হচ্ছে সিঁড়ি দিয়ে। ফলে বৃদ্ধ ও শিশুরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। সড়ক দিয়ে প্রায় পাঁচ ফুট উচ্চতার এ ব্রিজটি নির্মাণ করেই দায় এড়িয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ব্রিজটির অবস্থান জেলার গৌরনদী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হোসনাবাদ নিজাম উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের সামনে। দীর্ঘদিন ব্রিজটি দিয়ে স্থানীয়রা চলাচল করতে না পেরে অবশেষে দুইপাশে পাকা সিঁড়ি নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। তবে এ ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে না পারাসহ বৃদ্ধ ও শিশুরা সিঁড়ি বেয়ে ব্রিজ পারাপার হতে না পারায় ব্রিজের সুফল থেকে বঞ্ছিত হচ্ছেন স্থানীয়রা। বৃষ্টির সময় সিঁড়ি পিচ্ছিল হয়ে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা দীর্ঘদিন থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা থেকে শুরু করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে ঝুঁপিপূর্ণ ব্রিজটি ভেঙ্গে পূণরায় পরিকল্পিতভাবে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি করেও কোন সুফল পাচ্ছেন না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রিজের একপাশে ইট সলিং ও অপরপাশ দিয়ে বয়ে গেছে হোসনাবাদ-সরিকলের কার্পেটিং সড়ক। অথচ ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে সড়ক থেকে প্রায় পাঁচ ফুট উঁচুতে। যেকারণে ব্রিজের সুফল পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। ওই ব্রিজ থেকে প্রায় চারশ’ ফুট দূরত্বে নির্মিত অপর ব্রিজটি পরিকল্পিতভাবে সড়কের সাথে মিল রেখে নির্মাণ করা হলেও কলেজের সামনের ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে। স্থানীয়রা দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি ভেঙ্গে পূণরায় পরিকল্পিতভাবে ওইস্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরিকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক হোসেন মোল্লা বলেন, প্রায় ২৫ বছর পূর্বে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে নির্মিত আয়রন ব্রিজটি এখন অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাই ওই ব্রিজটি ভেঙ্গে নতুন করে পরিকল্পিতভাবে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য উপজেলা এলজিইডি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করা হয়েছে।