বরিশাল
শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় গাফফার চৌধুরীকে স্মরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ অমর একুশের গানের রচয়িতা, বরিশালের কৃতী সন্তান আবদুল গাফফার চৌধুরী। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নাগরিক পর্ষদের উদ্যোগে ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে নাগরিক শোকসভা।
বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (০২ জুন) সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সদ্য প্রয়াত গাফফার চৌধুরীর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রাম করেছেন গাফফার চৌধুরী। তার স্মরণে আয়োজিত নাগরিক শোকসভার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাগরিক পর্ষদের সদস্য সচিব সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ দুলাল।
শোকসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেপি চেয়ারম্যান ও ইত্তেফাক গ্রুপ অব পাবলিকেশন্স চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু-এমপি।
তিনি বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বক্তা হিসেবে গাফফার চৌধুরী ছিলেন। বাঙালি চেতনাটা তার ছিল। তিনি মৃদুভাষী ছিলেন। অনেকে বলছেন, গাফফার চৌধুরী মারা গেছেন। আমি বলবো না তিনি মারা যাননি। তবে অমর একুশের গানের মধ্যেই তিনি বেঁচে থাকবেন। তার মৃত্যুতে যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে কোনোকিছুর বিনিময়েই তা আর পূরণ হবে না।
গাফফার চৌধুরীকে নিয়ে শোকগাঁথা উপস্থাপন করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন। তিনি বক্তব্যে অমর একুশের গানের সৃষ্টি নিয়েও আলোচনা করেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক পর্ষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন আকাশ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিবিসি প্রযোজক কাজী জাওয়াদ।
তিনি বলেন, গাফফার চৌধুরীকে আমি সবসময় স্মরণে রাখতে চাই। তাকে হারিয়ে ফেলতে চাই না। ১৯৭৩ সালে দৈনিক জনপদ পত্রিকায় গাফফার ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম পরিচয় আমার। ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলে সাত খুনের ঘটনাটি নিয়ে গাফফার ভাই আমার কাছে জানতে চাইলেন। আমি যা যা শুনেছি তাই লিখলাম।
তিনি বললেন, কিছু হয়নি এটা। তিনি আমার থেকে সব শুনে নিজেই লিখলেন এবং টেলিগ্রামে তা আমার নামেই ছাপা হলো। তিনি শেখালেন, লেখায় সিদ্ধান্ত দেওয়ার চেয়ে বিতর্ক বেশি দেবে। দুই পক্ষের বক্তব্য দেবে। এরপর গাফফার চৌধুরী সম্পর্কে ঘনিষ্ঠ কিছু মূহূর্ত নিয়ে তৈরি কবিতা পাঠ করেন কাজী জাওয়াদ।
সভাপতির বক্তব্যে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, গুণী এই ব্যক্তিকে যথাযথ সম্মান জানানো আমাদের সবার কর্তব্য। তিনি তার বক্তব্যে নগরের কাউনিয়া এলাকার একটি রাস্তা গাফফার চৌধুরীর নামে নামকরণ করার ঘোষণা দেন।