বরিশাল
নগরীতে জমি নিয়ে বিরোধ, পাল্টাপাল্টি হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশাল নগরীতে জমি নিয়ে বিরোধে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুরুতর আহত একজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর হাজেরা খাতুন স্কুল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ও দেলোয়ারা বেগমের পরিবার হাজেরা খাতুন স্কুল এলাকায় ৭ শতাংশ করে ১৪ শতাংশ জমি ক্রয় করি। আমি প্রবাসে থাকায় জমি দেখাশোনা করে খালাতো ভাই সৈয়দ মিজান। ওই জমিতে মিজান বাসা করে বসবাস করেন।
‘তিন মাস আগে স্থানীয় শফিকুল ইসলাম ও দেলোয়ারা বেগমের ছেলে মাহাদি হাসান সাইমনসহ তার সহযোগীরা মিজানের কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ কথা আমি এলাকার মুরুব্বিদের জানাই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।’
নজরুল বলেন, ‘চাঁদা দাবি ও আমার জমি জবর দখল বিষয়ে সাবেক কাউন্সিলর আউয়াল মোল্লার ডাকে সকালে সালিশ বসে। সালিশের একপর্যায়ে দুপুরের দিকে সাইমন, দেলোয়ারা বেগম, ফারুক হোসেন, পান্না, টিটু, কাঞ্চন আলীর স্ত্রী লাল বরুসহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে মিজানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন।’
স্থানীয়রা তাকে শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। মিজানকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাইমন বলেন, ‘জমি নিয়ে আমাদের সঙ্গে একটি পক্ষের ঝামেলা রয়েছে। দুপুরে দেড় থেকে দুই শ লোক একটি রিভলবার ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের জমির ভাড়া দেয়া দুইটি ঘরে হামলা চালায় প্রথমে। পরে আমার মোটরসাইকেল ও বসতঘর ভাঙচুর এবং বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করে।’
‘পুলিশের উপস্থিতিতে এই হামলায় আমার মা, মামী রহিমা বেগম, নানু লাল বরু ও মামা ফারুখ হাওলাদার আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আমরা কারো ওপর হামলা চালাইনি, তাদের হামলা প্রতিরোধেরও সুযোগ পাইনি। মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে আমাদের ওপর।’
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, ‘পুলিশের সামনে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়েছিলে। কয়েকজন আহত আছে শুনেছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার-পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।