বরিশাল
ওয়ার্ড আ.লীগ নেতার চাঁদাবাজীতে ক্ষিপ্ত মেয়র সাদিক
নিজস্ব প্রতিবেদক।। সড়কের পাশে দোকান বসিয়ে তা থেকে চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে বরিশাল মহানগরের ১০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখর দাস খোকনের বিরুদ্ধে। এতে খোদ ক্ষেপেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। ঈদের আগেই দলীয় পদ থেকে শেখরকে বহিষ্কারের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) দিনগত রাতে বরিশাল নদী বন্দরে ঢাকা থেকে আসা যাত্রীদের জন্য সিসি ক্যামেরা কন্ট্রোল রুম ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে নগর ভবনের সামনে যানবহন চলাচল কিভাবে স্বাভাবিক রাখা যায় সেটি দেখতে গিয়ে শেখর দাস খোকনের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সহিত এমন মন্তব্য করেছেন মেয়র।
মেয়রের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে করা লাইভে দেখা যায়, ঈদে আসা মানুষের ভীড়ের কারণে যাতে যানজট না হয় সেজন্য নগর ভবনের সামনের সড়কে থাকা পোষাকের ভ্রাম্যমান দোকানগুলো সরিয়ে ফুটপাতে উঠিয়ে ব্যবসা করতে বলা হয়। এসময় সেই সব দোকানের দেখভালের দায়িত্বে থাকা সালামকে সব দিকের সড়কের উপর থাকা দোকান সরিয়ে ফুটপাতের উপরে উঠিয়ে ব্যবসা পরিচালনার নির্দেশ দেন। প্রতিউত্তরে সালাম বলেন, জাদুঘরের সামনের সড়ক তার মধ্যে নয়, সেটা শেখর দেখভাল করে।
এসময় মেয়র সাদিক ক্ষেপে যান এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখর দাস খোকন এখানে দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজী করে বলে লাইভে বলেন। এসময় স্পীডবোট থেকেও টাকা নিয়ে থাকেন বলে উল্লেখ করেন মেয়র। পাশাপাশি ঈদের আগেই শেখরকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করবেন বলে লাইভে ঘোষনা দেন মেয়র। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পদ চাঁদাবাজী করার জন্য দেওয়া হয়নি। কার পারমিশনে এসব দোকান বসানো হয়েছে। এসময় তিনি সিটি করপোরেশনের রোড ইন্সপেক্টর সাজ্জাদ সেরনিয়াবাতকে জাদুঘরের সামনের সড়কে থাকা সকল দোকানপাট উচ্ছেদের জন্য নির্দেশ দেন।
এসব বিষয়ে ১০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখর দাস খোকন বলেন, ওখানকার মানুষ বিপদে পড়লে আমি গিয়ে পাশে দাঁড়াই। মাঝে মাঝে তাদের খোঁজখবর নেই। এছাড়া অবৈধ কোনো যোগাযোগ নেই সেখানকার দোকানদারদের সাথে। তবে কি ভেবে মেয়র মহোদয় আমি চাঁদাবাজী করি বলেছেন তা সৃষ্টিকর্তাই জানেন।