বরিশাল
বরিশালে মেহেদির পরকীয়ায় ভেঙ্গে গেল অটোচালকের সংসার
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মীর (এক্সট্রা ক্লিনার) সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলে অটোচালকের সংসার ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সাউথ মেডিনোভা ডায়াগনস্টিকের শেয়ার হোল্ডার মেহেদী হাসান মিলনের বিরুদ্ধে। সংসার ভেঙ্গে দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি মেহেদি। বিভিন্নভাবে ওই পরিচ্ছন্নতা কর্মীর স্বামী (তালাকপ্রাপ্ত) সবুজকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। প্রতারক মিলন নগরীর সাগরদী দুরানী বাড়ি এলাকার ভাড়াটিয়া ও শেরে বাংলা মেডিকেলের সামনে সাউথ মেডিনোভা ডায়াগনস্টিকের শেয়ার হোল্ডার।
প্রতারণার শিকার অটোচালক সবুজ বরিশাল নগরীর সিকদার পাড়া কালু খান বাড়ি এলাকার ভাড়াটিয়া।
সবুজ জানান, গত ১৪ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে সবুজের সাথে নলছিটির কুলকাঠি গ্রামের মোনাছেফ সিকদারের মেয়ে এ্যানি বেগমের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর উভয়ই সুখে শান্তিতে সংসার করে আসছিল। সংসার জীবনে তাদের ১৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
গত ৩ বছর পূর্বে শেরে বাংলা মেডিকলে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় এ্যানির মায়ের সাথে মেহেদির পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে ধর্ম মা ও ছেলের সম্পর্ক হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে এ্যানির সাথে মেহেদী পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ধর্মের নামে কর্ম শুরু হয় মেহেদী এ্যানির।
মেহেদির স্ত্রী- সন্তান থাকা সত্ত্বেও মেহেদী- সবুজের স্ত্রী এ্যানিকে নিয়ে অগোচরে বিভিন্ন সময় আত্নীয়-স্বজনের বাসায় বেড়াতে যায় ও শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এ বিষয়টি এ্যানির মা নিজেও অবগত থাকলেও তিনি কোন প্রতিবাদ করেননি। এছাড়া সবুজ অটো নিয়ে বাসা থেকে বের হলে ও মেয়ে স্কুলে গেলে মেহেদী তার বাসায় আসে।
পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার পরই সুবজের সাথে এ্যানির সংসার জীবনে ঝগড়া-বিবাদসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অশান্তি শুরু হয়।
দীর্ঘদিন ধরে তারা এভাবে চলে আসলেও সবুজ এ বিষয়ে কিছুই জানতো না। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বাসায় ফিরে এ্যানি ও মেহেদীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় সবুজ। এর পর থেকেই সবুজ ও এ্যানির সম্পর্কের ফাটল শুরু হয়। এরই জের ধরে সবুজ ও এ্যানি দু’জনেই কোতয়ালী মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বিষয়ে এএসআই মিজানুর রহমান জানান, স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া বিবাদের জের ধরে উভয়ই অভিযোগ দিয়েছেন। আদালতের মাধ্যমে স্ত্রী স্বামীকে ডির্ভোস দিয়ে দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। তিন-চার দিন পূর্বে স্ত্রীর ডিভোর্স পেপার সবুজ হাতে পেয়েছে।
এদিকে আরো জানা গেছে, অভিযুক্ত মেহেদী হাসান মিলন দীর্ঘদিন ধরে মেডিকেলে ডায়াগনস্টিকের দালালী করে আসছে। এরপূর্বেও সে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগী ও তাদের স্বজনদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। বেশ কয়েক বছর দালালীর টাকায় ডায়াগনস্টিকের ব্যবসায় বিনিয়োগ করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান মিলন নিউজ প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেন, আমার সাথে কোন খারাপ সম্পর্ক না ফ্যামিলিগত সম্পর্ক।