জাতীয়
ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা, সন্তানকে টয়লেটে ফেলে দিলেন মা
রিপোর্ট দেশজনপদ॥ সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় খানপুর গ্রামের একটি টয়লেট থেকে সদ্যভূমিষ্ঠ এক নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার খানপুর বাজারের দক্ষিণপাশের একটি টয়লেট থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নবজাতকের মা খানপুর গ্রামের রইচ উদ্দীনের মেয়ে (মানসিক প্রতিবন্ধী) মাছুরা খাতুন ও নানি শহিদা খাতুনকে আটকে রাখে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পৌঁছায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নবজাতকটির জন্ম হয়। পরে নবজাতটিকে তার মা ও নানি একটি টয়লেটের ভেতরে ফেলে দেন। টয়লেটের আশপাশে রক্ত দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যদের জানান। পরে তারা টয়লেটের ভেতর থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে নারী ইউপি সদস্য রুমা আক্তার জানান, বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত আমি টয়লেট থেকে নবজাতককে উদ্ধার করি। কিন্তু ততোক্ষণে নবজাতকটি মারা যায়।
ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পরিবারটি অত্যন্ত গরিব। মেয়েটি জন্ম থেকে মানসিক প্রতিবন্ধী। এর আগেও পার্শ্ববর্তী খানপুর গ্রামের এক ব্যক্তি খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। সেই সন্তানের বয়স এখন ৫ বছর। ওই ঘটনার পর আবারো কে বা কারা তাকে ধর্ষণ করে। এতে সে আবারো অন্তঃসত্ত্বা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয় মেয়েটি। পরে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে জানতে পারি মায়ের সহযোগিতায় সেই নবজাতককে টয়লেটে ফেলে দিয়েছে সে। পরে টয়লেট থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারটির অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে যারা এই অপকর্মে লিপ্ত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে নবজাতকের মা শহিদা খাতুন জানান, দুপুর দুইটার দিকে নবজাতকটি টয়লেটেই ভূমিষ্ঠ হয় ও টয়লেটের ভেতরে চলে যায়। পরবর্তীতে আমার মেয়ে আমাকে জানালেও লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি আমরা কাউকে জানাইনি।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই শাহজালাল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাবো।