বরিশাল
বিকল্প লঞ্চে বরিশাল পৌঁছালেন ধলেশ্বরীতে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চের ৫ শতাধিক যাত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ ঢাকা থেকে বরিশালে আসার পথে মুন্সিগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে দুর্ঘটনা কবলিত এমভি সুরভী-৭ লঞ্চের ৫ শতাধিক যাত্রীকে এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চে বরিশালে নিয়ে আসা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের ৬ ঘণ্টা পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় লঞ্চটি বরিশাল নদী বন্দরে নোঙ্গর করে। রাতে সুরভী লঞ্চের ধাক্কায় বলেশ্বর নদীতে বাল্কহেড ডুবে যাওয়ায় ভয় পেয়েছিলেন যাত্রীরা। এ জন্য চালকদের অসতর্কতাকে দায়ী করেছেন তারা।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, গত বুধবার রাত ৯টায় ৫ শতাধিক যাত্রী নিয়ে সুরভী-৭ লঞ্চটি বরিশালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। রাত ১০টার দিকে পথিমধ্যে ধলেশ্বরী নদীতে সুরভী-৭ লঞ্চের ধাক্কায় একটি বাল্ক হেড ডুবে যায়। রাতের বেলা মাঝ নদীতে সুরভী লঞ্চের সাথে আরেকটি নৌযানের ধাক্কা লাগায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। পরে লঞ্চটি তীরে থামিয়ে তলদেশ পরীক্ষা করে দেখা যায়, তলানিতে পানির স্থরের উপরে ফাটল ধরেছে। খবর পেয়ে কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা ওই লঞ্চটি পরিদর্শন করে। তারা লঞ্চটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যাত্রা স্থগিত করেন। পরে আরেকটি লঞ্চে যাত্রীদের বরিশাল পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। ৬ ঘণ্টা বিলম্বে বিকল্প লঞ্চে সকাল ১১টার দিকে বরিশাল নদী বন্দরে এসে পৌঁছেন যাত্রীরা।
দুর্ঘটনার জন্য বাল্কহেড চালককে দোষারোপ করেছেন সুরভী লঞ্চের কর্মচারীরা। অপরদিকে দুই নৌযানের চালকের অসতর্কতাকে দায়ী করেছেন যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশালের যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিল। ঘটনার পরপরই লঞ্চটি নোঙর করে রাখা হয় এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড অবস্থান করে সেখানে। ভোরে কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চে যাত্রীদের নিরাপদে বরিশাল নিয়ে আসা হয়েছে।