ঝালকাঠি
রাজাপুরে স্কুল মাঠে ধান চাষ
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় দুইটি বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ চষে পুরোদমে চাষাবাদ শুরু করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজ করে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠে চলছে চাষাবাদ। উপজেলার দক্ষিন রাজাপুরের ইউসুব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ফিরোজা মজিদ বালিকা মাধ্যমকি বিদ্যালয়ের মাঠে এমন এ দৃশ্য চোখে পড়বে।
অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অর্থের বিনিময় ম্যানেজ করে স্থানীয় প্রয়াত সেকেন্দার আলী হাওলাদারের ছেলে মো. মোশারফ আলী ট্রাক্টর দিয়ে দক্ষিন উপজেলার ইউসুব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ধান চাষ করেছেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ নষ্ট হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলেন, টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক স্কুল মাঠ লাগিয়ে দিয়েছেন (ভাড়া দেয়া)।
স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা এখানে ফুটবল খেলে। বর্ষা মৌসুমে গ্রামাঞ্চলের জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। কিন্তু এখন আর খেলাধূলার সে সুযোগ রইলোনা। ইউসুব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মোশারফ আলী হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে জমি চাষ করছেন।
তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছ থেকে নগদ টাকার বিনিময়ে স্থানীয় যুবলীগনেতা মাইনুল ইসলাম স্কুলমাঠ চাষ করার অনুমতি নিয়েছেন।
এদিকে দক্ষিন রাজাপুরের ফিরোজা মজিদ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠেও একই অবস্থা। সেখানেও বীজতলা তৈরির অনুমতি দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই মাঠেও চাষাবাদ করে ধানের বীজ বপন করা হয়েছিল।
এখন ধানের চারাও বড় হতে শুরু করেছে। এ ব্যাপারে ফিরোজা মজিদ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফিরোজ আলম সাংবাদিকদের বলেন, “স্কুলের দপ্তরী আমার অনুমতি নিয়েই বীজতলা তৈরী করেছে।
এখন স্কুল বন্ধ তাই অনুমতি দিয়েছি।” অপরদিকে ইউসুব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু বক্কর সিদ্দিক টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, সব বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি করেছে।”
ইউসুব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আলিম আল-মাসুদ জানান, “এখনতো স্কুল বন্ধ, স্কুল মাঠে বীজতলা তৈরী করলে এর সুবিধা কোন না কোন ভাবে সবাই ভোগ করবে।”
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “স্কুলের খেলার মাঠে বীজতলা তৈরীর কোন বিধান নেই। যদি কেউ করে থাকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”