কলাপাড়া
কলাপাড়া পৌর শহরের একমাত্র খালটিতে চলছে অবৈধ দখল
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কোন কিছুতেই থামছে না কলাপাড়া পৌর শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা মৃতপ্রায় একমাত্র খালটির দখল দৌরাত্ম। সম্প্রতি নামকাওয়াস্তে এ খালটির পশ্চিম প্রান্তে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। এন্তার অভিযোগ ছিল শহরবাসীর। প্রভাবশালী অনেককে বাদ দিয়ে নামকাওয়াস্তে অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু এখন যেই সেই অবস্থা। ফ্রিস্টাইলে পারিবারিক সকল বর্জ্য সরু খালটিতে ফেলা হচ্ছে। দখল তো আছেই। রহমতপুর এলাকায় দেখা গেছে খালটির দুই পাড়ে স্থাপনায় সয়লাব। রহমতপুর প্রথম কালভার্টের পূর্বদিকে দেখা গেছে বাঁশের পাইলিং দিয়ে খালটি নতুন করে দখল চলছে। পৌর কর্তৃপক্ষ এ খালটি রক্ষায় উদাসীন রয়েছে। কলাপাড়া ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তার (তহশিলদার) বিরুদ্ধে রয়েছে এন্তার অভিযোগ। এরা সরকারের এসব খাল, পুকুর জমি উদ্ধারে চরম উদাসীন। উল্টো অভিযোগ রয়েছে, এদের প্রকাশ্য যোগসাজশে চলে দখল। উপজেলা প্রশাসন যতই নির্দেশ দেয় কোন কাজে আসছে না। উপজেলা খাস জমি বন্দোবস্ত ও ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রত্যেকটি সভায় খালের দখলদারদের তালিকা তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট তহশিলের কর্মকর্তাদের লিখিত নির্দেশনার সিদ্ধান্ত রয়েছে। কিন্তু আজ অবধি তার বাস্তবায়ন হয় না। খোদ কলাপাড়া পৌরশহরের প্রাণখ্যাত খালটির সীমানা নির্ধারনের সিদ্ধান্ত থাকলেও আজ অবধি বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে একদিকে শহরে বসবাস উপযোগিতা থাকছে না। মশার উপদ্রব বাড়ছে। খালে ফেলা পারিবারিক বর্জ্য পচে-গলে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। খালের পাড়ের বাসিন্দাদের টয়লেটের আউটলাইন খালের সঙ্গে থাকায় স্বাস্থ্য ঝুকি বাড়ছে। এমনকি খোলা পায়খানা পর্যন্ত রয়েছে দৃশ্যমান। এক কথায় কলাপাড়া পৌরশহরের খালটি দখলের হরিলুট চলছে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ, উপজেলা ভূমি প্রশাসন সবাই বলছে দখলদার যেই হোক তা উচ্ছেদ করা হবে। অতি সম্প্রতি কলাপাড়ায় পরিদর্শনকালে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার সকল প্রশাসনকে খাল-নদী রক্ষায় সকল দখলদার উচ্ছেদে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এর কোন বাস্তবায়ন নেই। তবে প্রায় আড়াই শ’ দখলদারের তালিকা তৈরি করে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানোর কথা জানালেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ দাশ। তবে যেভাবে কলাপাড়া পৌরসভার মাঝখানের খালটি ফের দখল ও বর্জ্য ফেলা শুরু হয়েছে তাতে খালটির যেটুকু পানির প্রবাহ আছে তাও আগামি এক মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।