চরফ্যাশন
চরফ্যাশনে স্কুল ছাত্রী ধর্ষিত, অন্তঃসত্ত্বা, অতঃপর বাল্য বিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ চরফ্যাশনের আছলামপুরের ওমরপুরে ৬নং ওয়ার্ডে খোদেজাবাগ গ্রামে প্রতিবেশী এক সন্তানের জনকের ধর্ষনে প্রায় ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে এক স্কুল ছাত্রী। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই রাতেই ধর্ষকের সাথে কিশোরী দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বিয়ে দেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা ।
সোমবার সরেজমিনে গেলে কিশোরীর মা, ধর্ষক আমজাদ হোসেন ও তার পরিবার এবং এলাকাবাসী ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিয়ের বিষটি নিশ্চিত করেছেন। তাদের স্বীকারোক্তিমুলক অডিও এবং ভিডিও রেকর্ড এ প্রতিনিধির কাছে সংরক্ষিত আছে।
অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর মা জানান, ঘটনাটি চাউর হওয়ার পর আমজাদ এবং তার প্রথম স্ত্রী আমার মেয়েকে মেনে নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের লোকেরা কাজী ডেকে বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন। এ কারণে আমি মামলা করিনি।
ধর্ষক আমজাদ জানান, ভুইয়ারহাট বাজারের ব্যবসায়ি ও ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট আত্মীয় দুলালসহ চেয়ারম্যানের লোকেরা স্থানীয় কাজী ডেকে ৩ লাখ টাকা দেনমোহরে এই বিয়ে দেন। এটা ফয়সালা হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানায়, স্কুলছাত্রীকে বিয়ের পর থেকে অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে রাখা হয়েছে। স্থানীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায, রফাদফার মাধ্যমে এ বিয়ে সম্পন্ন হয় ।
আছলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, এটা নিয়ে বসার জন্য তারিখ দিয়েছিলাম। পরে শুনেছি স্থানীয়রা বিয়ে সম্পন্ন করেন। তাই আমি রাগ করে আর খোঁজ নেইনি। এমন ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি এলাকাবাসী।
চরফ্যাশন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া বলেন, স্থানীয়দের সংবাদে ঘটনা স্থানে পুলিশ পাঠিয়েছি, কিন্তু‘ কিশোরীর মা ঘটনা স্বীকার করেনি। তাই পুলিশ ফিরে এসেছে। কিশোরী ধর্ষণ এবং বিয়ের বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহি স্যারের সাথে কথা বলবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন বলেন এ ঘটনায় স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ আলোচনা করে সমাধান করার চেষ্টা করব।