বরিশাল সদর
আজ ডা: মো. সাইফুল ইসলামের শুভ জন্মদিন
মির্জা রিমন ॥ যাদের কাজ, চিন্তা ও মূল্যবোধ মানুষের জীবনকে গভীরভাবে স্পর্শ করে যায়, তারা মানুষের জীবন ও চেতনায় থেকে যান সারাজীবন। ডা: মো. সাইফুল ইসলাম তাদেরই একজন। আজ তার শুভ জন্মদিন। অসম্ভব ভালো মনের একজন মানুষ। ডা: মো. সাইফুল ইসলাম সোহেল ১৯৮১ সনের আজকের এই দিনে বরিশালের পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদের মাগুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তবে পিতার চাকুরীর সুবাদে শৈশব থেকেই বরিশাল নগরীতেই বেড়ে উঠেছেন। পিতা মো: ফরিদউদ্দিন ছিলেন একজন নামকরা ফিজিওথেরাপিস্ট, বরেণ্য সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী। ডা: মো. সাইফুল ইসলাম ২০০৪ সালে গন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অফ ফিজিওথেরাপি ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর ২০০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইন্টারন্যশনাল ইন্সটিটিউট অব কার্ডিয়াক সাইন্স কলকাতা হতে পোষ্টগ্রাজুয়েশন কোর্স “ফিজিওথেরাপি কার্ডিয়াক রিহ্যাবিলিটেশন” উপর উচ্চতর প্রশিক্ষন শেষ করেন। এর আগে তিনি উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বরিশাল থেকে এসএসসি পাশ করেন। এবং এইচএসসি পাশ করেন বরিশাল হাতেমআলী কলেজ থেকে। মেধাবী হওয়ায় শিক্ষাজীবনের প্রতিটি স্তরেই লাভ করেন বিভিন্ন ধরনের স্কলারশীপ। বর্তমানে তিনি বরিশাল নগরীর হাসপাতাল রোডে মর্ডান ফিজিওথেরাপি এবং রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে রোগীদের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা প্রদান করছেন।
তার সচেতনতা, কর্মস্পৃহা আর নৈতিকতার কারণে কোনো বিতর্ক তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। যা সম্ভব হয়েছে তার নিরপেক্ষতার সততার জন্য। তিনি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা সেবায় একটি চমৎকার ও গতিশীল ব্যস্থাপনা গড়ে তুলেছেন সবসময়। পাশাপাশি গরীব অসহায় রোগীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন একজন সেবিকার অ্যাপ্রনের মতো, যা সেবা ও নিষ্ঠার প্রতীক, যা দেখে মানুষ আস্থা পায়।
লেখালেখির বিষয়ও বিচিত্র, বিভিন্ন গ্রন্থের সূত্র থেকে নিয়ে প্রবচন, রবীন্দ্রনাথ থেকে নিয়ে সমাজ, অসঙ্গতি থেকে শুরু করে কূটনৈতিক দর্শন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতির কথা প্রতিবাদী লেখায় তুলে ধরেন। সহজ-সরল, শিশুসুলভ মন ডা: সাইফুল ইসলামের। তার রয়েছে সূক্ষ্ম রসবোধ, কঠিন বিষয়ের মাঝেও তিনি মজা করেন, যা উপস্থিত সবাইকে খানিকটা নির্ভার করে তোলে। সবার সঙ্গে সমানভাবে মিশেন, পার্থক্য করেন না এতটুকু। যেমন আমি ভাবতাম, আমার সঙ্গে তাঁর বিশেষ বন্ধুত্ব সম্পর্ক রয়েছে। ভেবে খুব আনন্দ ও গর্ববোধ করেছি। পরে দেখি, সবার সঙ্গেই তাঁর এমন বিশেষ সম্পর্ক। এভাবেই সবাইকে সম্মান ও শ্রদ্ধাচিত্তে ভালবাসেন তিনি। রয়েছে বন্ধুপ্রীতি অপরিসীম।
মানবজীবন সম্পর্কে তার ব্যাপক কৌতূহল ও পাণ্ডিত্য অসাধারণ। ফলে এত বিচিত্র বিষয়ে তার অগাধ জ্ঞান আর জানাশোনা। তিনি জানেন এবং জানাতে ভালোবাসেন। কাউকে ছোট-বড় বলে ভাবেন না। মনে করেন, সবার কাছেই তাঁর কিছু জানার আছে, সবাই তাকে কিছু না কিছু বলতে পারে। তিনি সেই কথা শুনেন, সমন্বিত করে তুলে ধরেন। ক্ষনস্থায়ী জীবনের আরও নতুন একটি বছরে পদার্পন ডা: সাইফুল ইসলাম সোহেলর। শুভ জন্মদিন বন্ধু।