বরিশাল
মসজিদের ওপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন সরানোর দাবী
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর কাশিপুর ইছাকাঠি বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় সংলগ্ন বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের পাশে বাইতুননুর জামে মসজিদ। মসজিদটিতে শত শত মুসুল্লি নামাজ আদায় করে আসছেন। মসজিদটির ওপর দিয়ে গেছে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন। এতে করে যেকোনো সময় নারায়ণগঞ্জ ট্রাজেডির মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন মুসুল্লিরা। মসজিদটির ওপর দিয়ে বিপদজনক ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন সরিয়ে নিতে বিদ্যুৎ বিভাগকে একাধিকবার অনুরোধ করেছে মসজিদ কমিটি। তবে কাজ হয়নি। অবশেষে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন সরিয়ে নিতে গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জুম্মার নামাজের আগে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের পাশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে মুসুল্লিরা। এসময় তারা মসজিদের ওপর থেকে বিপদজনক ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন সরিয়ে নেয়ার দাবী জানান। মানববন্ধনে ব্যক্তব্য রাখেন, বাইতুননুর জামে মসজিদের মুতাওয়াল্লি (জমিদাতা) আলহাজ্ব মোয়াজ্জেম হোসেন কামাল, মসজিদ কমিটির সভাপতি আবু হানিফ, মসজিদের খতিব হাফেজ মাও. শাইখ হাসনাইন মাহমুদ সিদ্দিকী প্রমূখ। তারা বলেন, বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন ও মসজিদের ছাদের ওপর দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টের লাইন টেনে নেয়ার কারণে মুসুল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিপদজনক বিদ্যুতের লাইনের কারণে মসজিদের ছাদে কেউ নামাজ আদায় করতে পারছেন না। যদি তার ছিঁড়ে পড়ে যায় তা হলে আর রক্ষা নেই। তাছাড়া বিদ্যুতের ওই লাইন মসজিদের উন্নয়ন কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা আরও বলেন, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে মসজিদে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পর এখানকার মুসুল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মুসুল্লিরা দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই নামাজ আদায় করছেন। বাইতুননুর জামে কমিটির সভাপতি আবু হানিফ, বিভিন্ন সময়ে মসজিদের ছাদের ওপর দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টের লাইন সড়িয়ে নিতে বিদ্যুৎ বিভাগসহ প্রশাসনের বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। তবে এ পর্যন্ত বিপদজনক ওই লাইন সরানোর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ অবস্থায় মুসুল্লিরা মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। মুসুল্লিরা অবিলম্বে বিপদজনক ওই লাইন সরানোর দাবি জানিয়েছেন। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) স্টেশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অমূল্য সরকার জানান, ১১ হাজার ভোল্টের সঞ্চালন লাইন টানা হয়েছে কয়েক যুগ আগে। এসময় ওই এলাকায় তেমন কোনো স্থাপনা ছিল না। এরপর যারা স্থাপনা করেছেন, তদের উচিত ছিল সঞ্চালন লাইন থেকে নিরাপদ দূরত্ব রেখে স্থাপনা নির্মাণ করা। অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা ওই এলাকা পরিদর্শন করে দেখেছেন, লাইন সরাতে গেলে খুঁটি সরাতে হবে। খুঁটি সরিয়ে নিতে হলে পাশে জমি থাকতে হবে। কিন্তু জমি ফাঁকা না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও সমস্যা সমাধানে করণীয় সম্পর্কে ভেবে দেখা হচ্ছে।