পিরোজপুর
পিরোজপুরের সাবেক এমপি আউয়াল ও তার স্ত্রীর জামিন বাতিলে হাইকোর্টের রুল
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে নিম্ন আদালতের দেয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত। দুদকের পক্ষ থেকে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আদালতে গতকাল দুদকের পক্ষে শুনানীতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আউয়াল দম্পতির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান। একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, তিন মামলায় তাদের জামিন কেন বাতিল করা হবে না এই মর্মে তিন সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। গতকাল এই বিষয়ে শুনানি হয়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিন মামলার মধ্যে একেএমএ আউয়াল তিনটিতে এবং একটিতে তার স্ত্রীকে আসামি করা হয়। ওই তিন মামলায় গত ৭ জানুয়ারি তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। হাইকোর্ট আট সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে ৩ মার্চ পিরোজপুর আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিন শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আইনজীবীরা এ সময় তাদের ডিভিশন দিতে আবেদন করেন। আদালতে সেটি মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে জেলা জজকে বদলি করা হয়। বিকেলে ফের জামিন আবেদনের পর ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ (যুগ্ম জেলা জজ) নাহিদ নাসরিন তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করে দু’জনের জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের পক্ষে আবেদন করা হয়। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর বরিশাল দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর মামলা তিনটি দায়ের করেন। তিনটিতে সাবেক এমপি আউয়াল এবং একটিতে তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আসামি করা হয়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, জেলার নাজিরপুর থানার সামনে এবং উপজেলা সদরের ভূমি অফিসের পেছনের ১৩ শতাংশ সরকারি খাস জমি নিজের দখলে নেন সাবেক এমপি। পরে সেখানে তিনি দোতলা পাকা ভবন নির্মাণ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অফিস হিসেবে ভাড়া দেন। এতে চুক্তি করেন এমপির স্ত্রী লায়লা পারভীন। একেএমএ আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পরপর দুবার পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন।
পিরোজপুরের সাবেক এমপি আউয়াল ও তার স্ত্রীর জামিন বাতিলে হাইকোর্টের রুল
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে নিম্ন আদালতের দেয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত। দুদকের পক্ষ থেকে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আদালতে গতকাল দুদকের পক্ষে শুনানীতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আউয়াল দম্পতির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান। একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, তিন মামলায় তাদের জামিন কেন বাতিল করা হবে না এই মর্মে তিন সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। গতকাল এই বিষয়ে শুনানি হয়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিন মামলার মধ্যে একেএমএ আউয়াল তিনটিতে এবং একটিতে তার স্ত্রীকে আসামি করা হয়। ওই তিন মামলায় গত ৭ জানুয়ারি তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। হাইকোর্ট আট সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে ৩ মার্চ পিরোজপুর আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিন শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আইনজীবীরা এ সময় তাদের ডিভিশন দিতে আবেদন করেন। আদালতে সেটি মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে জেলা জজকে বদলি করা হয়। বিকেলে ফের জামিন আবেদনের পর ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ (যুগ্ম জেলা জজ) নাহিদ নাসরিন তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করে দু’জনের জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের পক্ষে আবেদন করা হয়। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর বরিশাল দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর মামলা তিনটি দায়ের করেন। তিনটিতে সাবেক এমপি আউয়াল এবং একটিতে তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আসামি করা হয়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, জেলার নাজিরপুর থানার সামনে এবং উপজেলা সদরের ভূমি অফিসের পেছনের ১৩ শতাংশ সরকারি খাস জমি নিজের দখলে নেন সাবেক এমপি। পরে সেখানে তিনি দোতলা পাকা ভবন নির্মাণ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অফিস হিসেবে ভাড়া দেন। এতে চুক্তি করেন এমপির স্ত্রী লায়লা পারভীন। একেএমএ আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পরপর দুবার পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন।