উজিরপুর
জোয়ার ও তীব্র স্রোতে বরিশালের ২৫ স্থানে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ উত্তাল নদ-নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ার ও তীব্র স্রোতের কারণে বরিশালের বিভিন্ন এলাকার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৮ টির মতো স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
যদিও এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
বরিশাল পাউবোর প্রকৌশল শাখা সূত্রে জানা গেছে, বুখাইনগর নদী সংলগ্ন বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩০০ মিটার এলাকা বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়া বাকেরগঞ্জ উপজেলার কারখানা নদী তীরবর্তী ফরিদপুর ইউনিয়নের চর রঘূনদ্দি এলাকায় ২০০ মিটার, হিজলার হরিনাথপুর এলাকার ১০০ মিটার, কীর্তণখোলা নদী সংলগ্ন পামের হাটে ১৮০ মিটার, পশ্চিম চরকাউয়ায় ৮০ মিটার, বুখাইনগর নদীর লাহারহাট বাজার এলাকার ১৩০ মিটার, সাহেবেরহাট বাজার এলাকার ১০০ মিটার, বিঘাই নদী সংলগ্ন নতুন হাট বাজার এলাকার ৬৫ মিটার, মেঘনা নদী সংলগ্ন হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্যা কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকার ৩০০ মিটার, হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ১০০ মিটার, কীর্তণখোলা নদী সংলগ্ন চরবাড়িয়া এলাকায় ২২০ মিটার, লামছড়ি এলাকার ১৫০ মিটার, আড়িয়াল খাঁ নদী সংলগ্ন সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদের কামাড়পাড়া এলাকার ২৫০ মিটার, চারঘাট এলাকার ১৩৯ মিটার, মিস্ত্রিবাড়ী এলাকার ১২৩ মিটার, মৃধাবাড়ী এলাকার ১৩০ মিটার ও হারুন হাওলাদার বাড়ির এলাকার ১২৮ মিটার নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে মোট ১৮টি স্থানে ২ দশমিক ৬৯৫ কিলোমিটার এলাকা নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জেলা পাউবো।
অপরদিকে উজিররপুরের হারতা ইউনিয়নের নাথারকান্দিতে ২০ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া একই এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ১৫ মিটার, কীর্তণখোলা নদী সংলগ্ন চরবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ লামছরি এলাকায় ২৩০ মিটার, বাকেরগঞ্জের পাষদ্রিশীবপুরে ১১ স্থানে ১৬০ মিটার ও রগুনাথপুর এলাকার ১২ স্থানে ১৯০ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে।
বরিশাল পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার কারণে বরিশালের নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ার ও স্রোতের সৃষ্টি হয়। ফলে বাঁধের ২৫ স্থানে ৫৮০ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত এবং ১৮টি স্থানে ২ দশমিক ৬৯৫ কিলোমিটার এলাকা নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে জেলায়। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো সংস্কারের কাজ শুরু করেছি, তাছাড়া ভাঙন এলাকাগুলোতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।