বরগুনা
৮ বছর পর বরগুনা আওয়ামী লীগের সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দীর্ঘ ৮ বছর পর আগামীকাল বুধবার (১৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। সকাল ১০টায় বরগুনা সার্কিট হাউজ ময়দানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবিরের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা থাকবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম। বিশেষ অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মি আহমেদ, সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু, আনিসুর রহমান প্রমুখ।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।
তিনি বলেন, সম্মেলনকে ঘিরে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এদিকে সম্মেলন ঘিরে চারদিকে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। নেতা-কর্মীদের মধ্যেও বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এবং সাধারণ সম্পাদক ও বরগুনা জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবির পুনরায় স্বপদে থাকছেন, না-কি নতুন মুখ আসছে তা নিয়েও আলোচনায় মুখর পুরো বরগুনা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব মৃধা সভাপতি পদের জন্য চেষ্টা করছেন।
অপরদিকে, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন মন্টু মোল্লা, বরগুনা পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান মহারাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু, সদস্য এসএম মশিউর রহমান শিহাব সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে তৎপর বলে জানিয়েছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ মহল। এছাড়াও ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার টাঙিয়েও পদ আকাঙ্খা জানিয়েছেন আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর। ওই সম্মেলনে সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে সভাপতি ও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবিরকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তবে একটানা প্রায় ৩০ বছর ধরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন এই দুই নেতা। দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে ২০১৪ সালের ওই কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে ৭ বছর আগে।