বরিশাল
স্বাধীনতার ৫৪ বছরে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সমীকরণ নিয়ে বরিশালে সভা
নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতার ৫৪ বছরে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সমীকরণ নিয়ে ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ শাখার উন্মুক্ত আলোচনা সভা হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) অপরাহ্নে কলেজের কবি জীবনানন্দ দাশ চত্বরে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল কলেজ শাখার উদ্যোগে এ সভা হয়। গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ব্রজমোহন কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক তন্ময় মিত্রের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হুজাইফা রহমানের সঞ্চালনা সভা হয়।
বক্তৃতা দেন, লেখক মুস্তাফিজুর রহমান, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজয় শুভ, বরিশাল জেলা শাখার সংগঠক রাকিব মাহমুদ, ব্রজমোহন কলেজ শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুজয় সরকার প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায় বিচারের স্বাধীন ভূখন্ড আজও তৈরি হয়নি। ফলে আজ আমাদেরকে শপথ নিতে হবে মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষার বাংলাদেশ নির্মাণের।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার অর্ধ শকতেরও বেশি সময় পরও শোষনহীন সাম্যের সমাজ তৈরি হয়নি। মুক্তিযুদ্ধকালীন পরাধীন দেশের নিপীড়িত মানুষের দেখা স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেছে। নাগরিকের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। ভোটাধিকার থেকে শুরু করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা অধরাই থেকে গেছে আজও। বিচারহীনতার সংস্কৃতি জেকে বসেছে গোটা দেশের ঘাড়ের ওপর। নিপীড়কের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে দেশ। আমাদের শাসকেরা গত ৫০ বছরে স্বাধীনতাকামী মানুষদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
বক্তারা আরও বলেন, একটা স্বাধীন ভূখন্ড আমরা পেয়েছি। কিন্তু প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো আমাদেরকে মর্যাদার চোখে দেখবে এতটুকু নিশ্চিত করার মত পররাষ্ট্র নীতি আমরা তৈরী করতে পারিনি। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে একটা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য আমাদের সূর্য সন্তানেরা জীবন দিয়েছিলেন। কিন্তু সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি আমরা কোনোভাবেই রক্ষা করতে সমর্থ হয়নি। কারণ শাসকেরা বারে বারে এই সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়িকে ব্যবহার করে রাষ্ট্র ক্ষমতা নিশ্চিত করেছে।’