বরিশাল
হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ
স্বরূপকাঠির কামারকাঠীতে হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ
কামারকাঠীতে সৎ মা-ভাইয়ের রোষাণলের শিকার জাকিয়া ও তার স্বামী মোরছালিন
স্বরূপকাঠি প্রতিনিধি ॥ হীন স্বার্থের জন্য সৎ ছেলের বউকে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে জলাবাড়ী ইউনিয়নের কামারকাঠী এলাকায় মৃত নূরুল ইসলামের স্ত্রী সাফিয়া বেগম (৫০) বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায়, মৃত নূরুল ইসলামের সম্পত্তির ভোগ দখল নিয়ে সৎ মা ও সৎ ছেলের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমির বিরোধ চলে আসছিল। কামারকাঠীর মৃত নূরুল ইসলামের দুই বিয়ে এবং দুই সংসারের ছেলে মেয়েদের বিরোধ চরমে। দীর্ঘদিন ধরে সৎ মা ও তার ছেলে সুকৌশলে নানান কায়দায় গভীর ষড়যন্ত্র করে আসছিল মুরছালিন ও তার স্ত্রী জাকিয়ার সাথে। সুযোগ পেলেই জাকিয়ার সংসারের ক্ষতি সাধন সহ নানান কায়দায় অপপ্রচার করতো ডাইনি ও রাক্ষসী নামধারী সাফিয়া বেগম। আর সেই সূত্র ধরেই গত ০৮/০৯/২০২০ তারিখে আনুমানিক দুপুর ১২.৩০ সৎ মা ও সৎ ভাই আকষ্মিকভাবে জাকিয়ার স্বামী বাসায় না থাকার কারণে বদ চরিত্রের সৎ মা সৎ ছেলের বউয়ের উপর নির্দয় ভাবে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। সৎ মা ও ছেলে মিলে অমানবিক কায়দায় পশুর মত আচরণ করে জাকিয়ার উপর। এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী মশিরন সহ আম্বিয়া ও মীমের জবান বন্দিতে জানাযায়, সাফিয়া বেগম পশুর মত নির্লজ্জভাবে মারধর করে জাকিয়াকে। এদিকে কূটকৌশলী সাফিয়া কৌশলে জাকিয়ার গায়ে হাত তুলতেও ভুল করেনি। পাশাপাশি সৎ ভাই ভাবীকে আঘাত করার পূর্বে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বলে প্রত্যক্ষ দর্শীরা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন। বদ চরিত্রের সৎ ভাই মুনিব ছিলো আরও বেপরোয়া। হিংস্র বাঘের মত মায়ের মত ভাবীর স্পর্শ কাতর স্থান সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের পর আঘাত করতে দ্বিধা বোধ করেনি লম্পট চরিত্রের মনিব। তবে মজার বিষয় এ চক্র মহা নাটক করেও পার পায়নি ঘশেটি বেগম খ্যাত কামার কাঠীর কূটকৌশলী সাফিয়া ও তার ছেলে। থানা ও হাসাপাতাল সূত্রে জানা যায় ঘটনার পরক্ষনেই হাসপাতালে ভর্তি সহ থানায়ও মৌখিক অভিযোগ দিতে কার্পণ্যতা করেনি। সর্বশেষ নেছারাবাদ থানার সদ্য দায়িত্ব হাতে নেওয়া থানার নুতন অফিসার মোঃ হোসাইনের দক্ষতায় কামারকাঠীর সমগ্র ঘটনাটি উল্টো দিকে মোড় নেয়। ঘটনার অন্তরালের আসল রহস্য খুঁজে বের করে উল্টো মহা নাটকের প্লাটফর্ম তৈরি করা কামারকাঠীর সৎ মা ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৫৪/৫০৬ পেনাল কোর্ট অনধিকার প্রবেশ করে মারধর করার অভিযোগে মামলা হয়। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় মুনিব সহ সৎ মা সাফিয়াকে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা জাকিয়া জানান, আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। ভাগ্যগুনে বেচে যাই। আমি ন্যায়ের পক্ষে সুষ্ঠু বিচার চাই। তবে মামলার প্রধান আসামিরা কেহই মিডিয়ার কাছে কোন রকম কথা বলেননি। এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গন মাধ্যম কর্মীদের জানান, ঘটনার সত্যতা আছে এবং নেছারাবাদ থানায় মামলা হয়। বর্তমানে আসামিরা জেল হাজতে রয়েছে বলে জানান।