বরগুনা
স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অনশনে স্কুলশিক্ষক
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরগুনায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে অনশনে বসেছেন হুমায়ুন কবির নামে এক স্কুলশিক্ষক। নিজ বিদ্যালয়ে চাকরিতে বহাল রাখার দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তিনি অবস্থান নেন।
হুমায়ুন কবীর দাবি করেন, ২০০১ সালে বিধি মেনে বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তাকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত না থাকায় পরিবারের খরচ নিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। এ অবস্থায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পরামর্শ ও অনুমতিক্রমে ২০০৯ সালে শহরের আরেকটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে অস্থায়ীভাবে ক্লাস নিতে শুরু করেন।
এদিকে, চলতি বছর পুরাকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে এমপিওভুক্ত করেছে সরকার। কিন্তু হুমায়ুন কবিরকে ওই স্কুলের শিক্ষক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বিষয়টি সমাধানের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অনশনে বসেছেন তিনি।
হুমায়ুন কবির বলেন, ‘২২ বছর আগে ওই স্কুলে আমার নিয়োগ হয়। তখন এমপিওভুক্ত ছিল না। এখন এমপিওভুক্ত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ আমাকে স্কুলে রাখতে চাচ্ছে না। তারা আমার কাছে ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করছে। কিন্তু আমার পক্ষে এই টাকা দেয়া সম্ভব না। তাই এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে কোনো সমাধান না পেয়ে অনশনে বসতে বাধ্য হয়েছি।’
হুমায়ুন জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ বরাবর পোস্টিং না দিলে এরপর আর সময় থাকবে না।
বিষয়টি নিয়ে পুরাকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবুল হক কিসলু বলেন, ‘নিয়মতান্ত্রিকভাবে তিনি চাকরিতে বহাল হতে পারলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তবে আমার সভাপতির মেয়াদে তাকে কখনো এই বিদ্যালয়ে দেখিনি। এক সপ্তাহ আগে তিনি আমার কাছে এসে চাকরিতে বহাল রাখার দাবি জানান।’
এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করলে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’