বরিশাল সদর
সিটি কর্পোরেশনের সড়ক দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ
নিজস্ব প্রতিবেদক ।। বরিশাল নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাপ্টিস মিশন রোডে উইলিয়ামপাড়ায় সিটি কর্পোরেশনের সড়ক দখল করে ভবন নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা সুদাময় সিংহের তিন ছেলে তোতন, অদুদ এবং অমিত কয়েকদিন পূর্বে অনেটা গোপনে বহুতল ভবনের কাজ শুরু করছেন। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রতিবাদস্বরুপ ঐক্যবদ্ধ এলাকাবাসী বিষয়টি সিটি কর্পোরেশন মেয়রকে অবহিত করার পাশাপাশি প্রতিকার চেয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, এই ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনের আইন মানা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উইলিয়ামপাড়া সড়কের শেষ মাথার ভুমিতে বিগত সময়ে একইভাবে ভবন নির্মাণ করার চেষ্টা করে সুদাময় সিংহের ছেলেরা। তখন অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ ও সড়কের জমি দখল করার অভিযোগে সিটি কর্পোরেশন কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর দীর্ঘদিন ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকলেও কৌশলে রাস্তার ওপরেই ভবনের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করে ফেলে। এখন সেই সীমানা প্রাচীরের অভ্যন্তরে সড়ক দখল করে ভবণ নির্মানের কাজ করছেন। শুধু তাই নয়, করোনা দুর্যোগের সময়ে কোনো প্রকার আইনি জটিলতা নেই ভেবে গোপনে ভবনের কাজ দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় অপর এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, সুদাময় সিংহের ছেলেরা বাসার পাশে একটি বিশাল গরুর খামার করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। এনিয়েও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এছাড়া এখন যে প্লানে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে, তাও মেয়াদোত্তীর্ণ। কাগজপত্র নবায়ন না করে তৎসময়ের প্লানে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।
এদিকে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের খবর পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মজিবর রহমান। তিনি বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী ও সুদাময় সিংহের ছেলের সাথে শনিবার বিকেলে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিকে এলাকাবাসী বিষয়টিতে মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা চাইছেন এবং গণস্বাক্ষর কর্মসূচি গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।
এই বিষয়ে জানতে সুদাময় সিংহের ছেলে তোতনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার ছোট ভাই রিসিভ করে বলেন, সিটি কর্পোরেশনের রাস্তার ওপর ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে না। তারা নির্মানাধীন ভবনের সীমানা প্রাচীরের অভ্যন্তরে নিয়ম মেনেই কাজ করেছেন। একই সাথে তিনি মেয়াদোত্তীর্ণ প্লানে ভবন নির্মাণ করার বিষয়টিও অস্বীকার করেছেন।
তবে সিটি কর্পোরেশনের রাস্তার ওপর বিগত সময়ে যে ভবন নির্মাণ হয়েছিল তা ভেঙে ফেলা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিসিসির সড়ক পরিদর্শক আশিকুজ্জামান। এ ব্যাপারে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করলে কর্মকর্তাদের নির্দেশ মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।