বরিশাল
বাবা-মায়ের মুখে হাসি, স্কুলে যেতে পারবেন সারা
সারাকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন হাসানাত
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাবা মায়ের মুখে ফুটে উঠেছে অনাবিল হাসি। সুস্থ হয়ে উঠেছেন সারা। আবারো স্কুলে যেতে পারবেন এমন আনন্দে বারবারই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দক্ষিণ বাংলার সিংহ পুরুষ পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক (মন্ত্রী) ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য আলহাজ¦ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ (এমপি)কে।
বরিশাল নগরীতে অসহায় এক পরিবারের দিকে সাহায্যের মানবিক হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। রাজনীতির পাশাপাশি গরীব অসহায় মানুষের পাশে বারবারই দাঁড়িয়েছেন তিনি। নিজের সবটুকু দিয়ে সাহায্য করেছেন। সবসময় চেষ্টা করেছেন নিজ এলাকার মানুষের পাশে থাকার। যেকোনো দুর্যোগেও মেলে দিয়েছেন তার প্রশস্ত হাত।
এবার সহানুভূতির সেই হাতের ছোঁয়ায় প্রান ফিরে পেলেন মৃত্যু পথযাত্রী নগরীর আমিরকুটির এলাকার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী শেখ আফরোজা সারা। তাকে সঠিক চিকিৎসা করানোর সুযোগ করে দিলেন হাসানাত আবদুল্লাহ। তাঁর উদ্যোগেই বরিশাল থেকে শিশুটিকে ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। দ্রুত চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন সারা।
গত শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ঢাকার ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালে শিশু কার্ডিওলজিস্ট ব্রিগেঃ জেনাঃ (প্রফেসর) ডাঃ নুরুন্নাহার ফাতেমার তত্ত্বাবধানে সারার হার্টের দুটি ছিদ্রের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে সারা ভাল আছেন।
সারা’র বাবা শেখ শান্ত বলেন, সারা আমার একমাত্র সন্তান। ওর হার্টে দুটি ছিদ্র ধরা পড়ে কিন্তু অর্থের অভাবে অপারেশন করাতে পারছিলাম না। অপারেশনের জন্য প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা দরকার হবে বলে ডাক্তার জানায়। কিন্তু টাকার যোগাড় করতে না পারায় হতাশায় ভেঙে পড়ি। তাই নিরুপায় হয়ে একমাত্র মেয়েকে বাঁচাতে সকলের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাই। সারার অসুস্থতা নিয়ে গত মাসে দৈনিক দেশ জনপদসহ স্থানীয় পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এরপর বিষয়টি মন্ত্রী আলহাজ¦ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র নজরে এলে তিনি সারার চিকিৎসার সকল খরচ বহন করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন। পরে তাঁর তত্ত্বাবধানে এ্যাড. রফিকুল ইসলাম খোকনের সহযোগিতায় সারার হার্টের দুটি ছিদ্রের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
শুধু তাই নয়, আমাদের যাতায়ত ও থাকা-খাওয়ার খরচও তিনি বহন করেছেন। সারার সুস্থতার বিষয়ে মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে সারা’র বাবা আরো বলেন, আজ আমার মেয়ে নতুনভাবে জীবন ফিরে পেয়েছে মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র জন্যই। আমি ও আমার পরিবার তার কাছে চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এদিকে শিশু শিক্ষার্থী সারা সুস্থ হয়ে গতকাল তার বাবা শেখ শান্ত ও মা পলি বেগমকে নিয়ে মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র সাথে দেখা করেছেন। তখন তিনি সারা’র অপারেশন সঠিকভাবে অল্প সময়ে সম্পন্ন হওয়ায় সিংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সারা’র উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করেন।
তবে এই প্রথম নয়, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ (এমপি) এর আগেও শিশু চিকিৎসায় মানবিক নজির গড়ে তুলেছিলেন। তার এই পদক্ষেপ কার্যত প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছে সকল মহলের কাছে।