জাতীয়
সন্তানের পিতৃ স্বীকৃতি পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন নাবালিকা মা
নিজস্ব প্রতিবেদক : বান্দরবানে একমাত্র সন্তানের পিতৃ স্বীকৃতি পেতে কন্যা সন্তান নিয়ে আদালতসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এক নাবালিকা মা। তবু মিলছে না ন্যায়বিচার ও বাবার কাছে প্রাপ্য সন্তানের হক।স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউপির কাইচতলি এলাকার বাসিন্দা মো. ইউছুফের মেয়ে মিতু আক্তার (১৭)।
২০২১ সালের ৩০ মে মিতু আক্তার ছিল ১৩ বছরের কিশোরী। ওই সময় একই এলাকার বাসিন্দা মো. বদিউল আলমের ছেলে মো. রফিকুল আলম ইমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে। একপর্যায়ে তা শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়। মিতু আক্তারের শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তখন মিতু অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাঁদের বিয়ে করানো হবে মর্মে সালিসে ফয়সালা করা হয়।
পরবর্তীতে উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে মিতু ইমনদের বাড়িতে বসবাস করে আসছিল এবং সেখানে সে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। শিশুটির বর্তমান বয়স আড়াই বছর। মিতু আক্তারের কাছে বিয়ের কাবিননামা না থাকায় স্বামী মো. রফিকুল আলম কন্যা শিশু ও মিতু আক্তারকে অস্বীকার করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
এরপর মেয়ে মিতু আক্তারের স্বামী ও কন্যা শিশুটির পিতৃ পরিচয় আদায়ের লক্ষ্যে মিতু আক্তারের মা দিলারা বেগম বাদী হয়ে চলতি মাসের ৪ তারিখ বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে মো. রফিকুল আলম ইমনসহ তার পরিবারের ৪ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
আগের সালিশি বৈঠকের বিচারক ও সদর উপজেলার কাইচতলি এলাকার সামাজিক সর্দার মনছুফ আলী জানান, ২০২১ সালে মিতু আক্তার ও ইমনের শারীরিক সম্পর্কের কারণে মিতু গর্ভবতী হওয়ায় প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর উভয়ের বিয়ে করানো হবে মর্মে বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধান করা হয়েছিল।
এরই মধ্যে উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে মিতু আক্তার স্ত্রী হিসেবে ইমনের বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। পরবর্তীতে ইমন ও তার পরিবার সব সম্পর্ক অস্বীকার করে। এই বিষয়ে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের আইনজীবী শাহনেওয়াজ চৌধুরী বলেন, ‘মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তের ডিএনএ সংগ্রহের আদেশ দিয়েছে আদালত।’